সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
উখিয়া উপজেলার কুতুপালং বাজারে রোহিঙ্গা বস্তির লক্ষাধিক রোহিঙ্গাসহ স্থানীয়দের টার্গেট করে প্রতিদিনি চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে ৫০ ভুঁয়া ডাক্তার। কিছুদিন বিভিন্ন ফামের্সীতে চাকুরী করে একশ্রেনীয় বেকার যুবক নামের পার্শ্বে ডাক্তার উপাধি ছাড়াও ব্যাবহার করছে একাধিক উপাধি। ফলে বিভ্রান্ত হচ্ছে স্থানীয় জনগন। গুরুতর অভিযোগ রয়েছে,এসব ডাক্তাররা ফার্মেসী ব্যাবসায়ীদের সাথে চুক্তি ভিক্তিক তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার নিজে ফার্মেসী দিয়ে নিজেই ডাক্তার সেজে বসেছে। এসব ডাক্তারদের মধ্যে একাধিক রোহিঙ্গা ডাক্তারও রয়েছে। তারাও স্থানীয়দের দেখাদেখি নামের আগে ডাক্তার লিখছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রসাশনের কোন মাথাব্যাথা নেই।
সরজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা বাজার হিসেবে পরিচিত কুতুপালং শরনার্থী শিবির কেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক ফার্মেসী। এসব ফার্মসীতে ডাক্তারী চালিয়ে যাচ্ছে ফার্মেসী মালিকরা। এসব ফার্মেসী মালিকদের মধ্যে রয়েছেন মির আহমদ, জাফর আলম,খুরশেদ আলম, সেলিম, উছমান, জয়নাল, জালাল উদ্দিন,জাফর আহামদ সহ আরো অনেকে। এদের মধ্যে এনেকেই রেজিষ্ট্যাড ও রোহিঙ্গা বস্তির রেহিঙ্গা। এসব ফার্মেসীর বদৌলতে এসব রোহিঙ্গারা এখন এলাকায় নামী ডাক্তার হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া কিছুদিন আগেও যারা ছিলেন ঔষুধের দোকানের ফার্মাসিষ্ট কিংবা সরকারী বে-সরকারী কোন মেডিকেল সহকারী বা নার্স তারা আজ কুতুপালং বাজারে সাইনবোর্ড ধারী বড় বড় বিশেজ্ঞ ডাক্তার। অথচ এসব হাতুড়ে ডাক্তাররা ঠিকমত ঔষধের নাম পর্যন্ত ঠিকমত লিখতে পারে না।লিখতে পারে না, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার নাম। আর যা লিখে তাতেও থাকে ভুলে ভরা এবং তাদের প্রেসক্রিপশন দেখলেই শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিধি বুঝা যায়। এভাবে নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করে বিভিন্ন ডিগ্রির সাইনবোর্ডে দিয়ে সারাদিন রোগীদের অপচিকিৎসার মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এসব ডাক্তার নামধারীরা আর.এম.পি’র রোরাল মেডিকেল প্রেকটিশনার এবং এল.এম.এফ ইত্যাদি বিেেশ্লষন ব্যবহৃার করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এ এলাকায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে বহাল তবিয়তে রোগীদের সাথে প্রতারনা চালিয়ে গেলেও এদের কিরুদ্ধে কোন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।। এসব ডাক্তারের চেম্বারে দেখা গিয়ে দেখা যায়, সকাল-বিকাল রোগীদের ভিড়। ব্যাস্ত সময় আয়-রোজগারও বেশি। এসব ডাক্তারদের বেশির ভাগ সাইনবোর্ডে লেখা আছে মহিলা ও শিশু বিশেষজ্ঞ। এসব ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা কেউ এসএসসি পাশ আবার কেউ এইচএসসি পাশ। অনভিজ্ঞতার কারণে এ হাতুড়ে ডাক্তাররা সহজে রোগীদের ধরিয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন আজেবাজে কোম্পানীর হাই-পাওয়ারী এন্টিবায়োটিক ঔষধ। ০রোহিঙ্গাদের ফার্মেসী দেওয়ার ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আসার পর কুতুপালং বাজারের বেশ কয়েকটি ফার্মেসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবুও এসব ফার্মেসীর বিরুদ্ধে ক্যাম্প ইনচার্জের সাথে আলাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের মতামত