সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম:
কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক ও উপ সড়কে চলাচল করছে এক হাজারের অধিক লাইসেন্স বিহীন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ড্রাইভারের নিয়ন্ত্রনে টেক্সী, সি.এন.জি,আটোরিকসা,টমটম, জীপ, ডাম্পার, কক্সলাইন, সীলাইন নামের যানবাহন। যার ফলে এ সড়কে যত্রতত্র গাড়ী চলাচল করার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। উখিয়া, টেকনাফ দুই থানার পুলিশের ক্যাশিয়ার ও হায়ওয়ে পুলিশকে মাসিক মাশুয়ারার মাধ্যমে তাদের দেওয়া নির্ধারিত টোকেনের মাধ্যমে উপরোক্ত অবৈধ যানগুলো চলাচল করছে। ঈদকে সামনে রেখে পুলিশের নির্ধারিত চাঁদার বানিজ্য আরো বেড়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন উপ সড়ক ও কক্সবাজার- টেকনাফ মহা সড়কে পুলিশের লাইসেন্স নিয়ে চলছে বেপরোয়া ভাবে সহশ্রাধিক বিভিন্ন যানবাহন। উখিয়া ও টেকনাফ থানার পুলিশের স্ব-ঘোষিত কনেষ্টাবল পদবীর ক্যাশিয়ার ও হাইওয়ে পুলিশের টোকেনের মাধ্যমে ডাম্পার, টেক্সী, সি.এন.জি,অটোরিকসা,টমটম,কক্সলাইন, সীলাইন, নাফ স্পেশাল সার্ভিসগুলোর অধিকাংশ ড্রাইভারের লাইসেন্স থাকাতো দুরের কথা বৈধ কাগজ পত্র পর্যন্ত নেই। এছাড়াও এসব গাড়ীর চালকরাও অপ্রাপ্ত বয়স্ক। যেহেতু চালকদের ও গাড়ীর মালিকদের বৈধ কাগজ পত্র নেই তাই গাড়ী গুলো চলাচল করতে হলে পুলিশের হাতে জীম্মি থাকতে হয়। এ জন্য উল্লেখিত গাড়ীর মালিকদের এবং ড্রাইভারের মাধ্যমে দুই থানায় ক্যাশিয়ার ও হাইওয়ে পুলিশকে বসে এনে মোটা অংকের উৎকোচ দিতে হয়। না হলে ঐ সমস্ত গাড়ী পুলিশ ধরে নিয়ে থানায় নিয়ে আটকিয়ে রাখার অনেক নজির রয়েছে। কিছু দিন আগেও উখিয়া থানা পুলিশ সি.এন.জি ও মটর সাইকেল নাম্বার পিট না থাকায় আটক অভিযান পরিচালনা করে। কিন্তু এ অবৈধ গাড়ীগুলো ধরার পর পুলিশের লাভ হয়েছে সবচেয়ে বেশী। প্রায় প্রতিটি গাড়ীই দরদামের মাধ্যমে ছাড়িয়ে নিতে হয়েছে। উল্টো অনেক টাকা গচ্ছা গেছে সংশ্লিষ্ট গাড়ীর মালিকদের। তাই মালিকরা পুলিশকে সন্তুষ্ট রাখতে সবসময় তৎপর থাকেন। তবুও মাঝে মধ্যে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে সিএনজি মালিক নুরুল ইসলাম,নুরুল কবির ও হাবিবুর রহমান জানান। বর্তমানে কক্সবাজার টেকনাফ মহাসড়কে বেপরোয়া ভাবে যে যানবহনগুলো চলছে তাতে প্রশাসনের নজর ধারী নেই বললেই চলে। যানবাহন চলাচলের বিধি নিষেধ না থাকায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুল পড়–য়া ছাত্র/ ছাত্রীরা। নোহা চালক আব্দুল করিম বলেন, উখিয়া- টেকনাফ থানা পুলিশকে টাকা দিয়ে তাদের এ রোড়ে চলাচল করতে হয়। পুলিশের নির্ধাারত টোকেনের চাঁদা না দিলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ঈদ উপলক্ষ্যে পুলিশের চাঁদার পরিমান বেড়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, পুলিশের টোকেনর মাধ্যমে চাঁদা নেওয়ার ঘটনাটি তার জানা নেই, তবুও তিনি ব্যাপারটি দেখবেন বলে জানান।