হুমায়ুন কবির জুশান, উখিয়া ::
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উখিয়া-টেকনাফে প্রধান দুই দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ক্ষমতার জন্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি মাঠে রয়েছেন।বাংলাদেশের ইসলামী দলগুলোর মধ্যে প্রধান দল জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনী প্রচারণার জন্যে সংগঠিত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের চার মাসের কাছাকাছি সময়কে টার্গেট করে দলীয় নেতা-কর্মীরা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম বাড়িয়ে দিয়েছেন। নেতাকর্মী ও ভোটারদের কাছে টানতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা দিনরাত প্রাণান্তকর চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচনের আগে দলীয় ও ব্যক্তিগত পছন্দের এবং তৃণমূলকে চাঙা করতে নির্বাচনী মাঠে আওয়ামী লীগের ডজন খানেক প্রার্থী কাছ করছেন। অপরদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবির পাশাপাশি নেতা-কর্মীদের চাঙা ও আগামী নিনের আন্দোলন এবং নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির একক প্রার্থী শাহজাহান চৌধুরী সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ অবিরাম গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেকটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে জামায়াত। তারা প্রকাশ্যে গণসংযোগ না করলেও নির্বাচনী কৌশল নিয়ে সুসংগঠিত হচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। কক্সবাজার-৪ উখিয়া-টেকনাফ আসনটি এবার তারা দাবি করবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে এই ভাগ্যবান আসনটি পাওয়া না গেলে তখন বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাবেন। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সংগঠিত হচ্ছেন তারা। এদের একটি অংশ আবার বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের এমপি আব্দুর রহমান বদির সাথে সু সম্পর্ক থাকায় নিরবে তার পক্ষে কাজ করারও ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এখনো দৃশ্যমান না হলেও জামায়াত তাদের সঙ্গে আছে। তাদের পক্ষে কাজ করবেন। এমপি বদির সমর্থক গোষ্ঠীর এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাংসদ আব্দুর রহমান বদির বদান্যতায় অনেক জামায়াত নেতা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি আব্দুর রহমান বদির পক্ষে কাজ করবেন বলে তিনি মনে করেন। উখিয়া-টেকনাফে জামায়াতের শক্ত সাংগঠনিক অবস্থান রয়েছে। তারা সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে কাজ করবে না বলেও জানা যায়। এদিকে আগামী নির্বাচনে পূনরায় আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন জনগণের কাছে। আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরতে ব্যাপকভাবে কাজ করছেন সম্ভাব্য প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা। বিএনপি নেতারা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষ করার দাবিও তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও তুলে ধরা হচ্ছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি এ অবস্থান অব্যাহত রাখবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।