অাজিজুল হক,উখিয়া:
কক্সবাজার টেকনাফ প্রধান সড়ক ও অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন পথে চলাচলকারী মাইক্রো,সিএনজি,মাহিন্দ্রা,টমটম ও রিক্সা চালকেরা অসহায় রোহিঙ্গা ও স্থানীয় যাত্রীদের কাছ থেকে সরকার এবং পরিবহন মালিক সমিতির নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও শ্রুমিক-মালিক সমিতিকে ( ভুক্তভোগী যাত্রীরা) লিখিত অভিযোগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার সরকার বাহিনীর অত্যাচারে গত ২৪ অাগস্ট থেকে এই পর্যন্ত প্রায় অাড়াই লক্ষাধিক রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গারা টেকনাফ,উলুবনিয়া,কাটাখালী,ফারিরবিল,পালংখালী,থাইংখালী,বালুখালী,ঘুমধুম,তুমব্রু,রেজু অামতলী ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি যোগে মুছনি ক্যাম্প,বালুখালী ক্যাম্প ও কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পসহ বাংলাদেশে ডোকে পড়ে। সে সুবাধে কিছু অসাধু গাড়ি চালক তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া অাদায় করছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ও কক্সবাজার আন্তজেলা বাস ও অন্যান্য গাড়ি ভাড়া অপরিবর্তিত থাকলেও গাড়ি চালকেরা তা মান্য করছেনা। কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের আন্তজেলার বাসভাড়া জনপ্রতি ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাছাড়া কক্সবাজার উখিয়া সিএনজি ভাড়া জন প্রতি ৮০ টাকা,উখিয়া কুতুপালং ১০ টাকা,উখিয়া-বালুখালী ২০ টাকা,উখিয়া-পালংখালী ৩০ টাকা,উখিয়া-কাটাখালী ৪০ টাকা,উখিয়া-হৃীলা ৬০ টাকা মাহিদ্রা ও টটমটমে সমপরিমাণ ভাড়া নির্ধারিত থাকলেও,
সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অাসার পর থেকে গত ১৫ দিন ধরে নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসরণ না করে স্থানীয় গাড়ি চালকেরা খেয়ালখুশিমতো দেড় থেকে দুই গুণ ভাড়া আদায় করছেন।
ভুক্তভোগী সিএনজি যাত্রী মিয়ানমার খিয়ারী পাড়া থেকে অনুপ্রবেশকৃত রোহিঙ্গা মকছুদুর রহমান(৪৫) বলেন, লোকেমূখে শুনেছি পালংখালী থেকে কুতুপালং অাগে রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া নিত ১৫০ টাকা, সেখানে হঠাৎ করে অামাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে উল্টো সিএনজি চালকের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে।
ঘুমধুম থেকে কুতুপালংগামী স্থানীয় টমটম যাত্রী এরশাদ মিয়া বলেন, এখানকার গাড়ী চালকদের দাপট দেখে মনে হয়, এখানে তাঁদের এসব অন্যায় তদারক করার কেউ নেই। ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়লেও যাত্রীসেবা মোটেই বাড়েনি। বেশির ভাগ গাড়ির চালক অপ্রাপ্ত বয়স্ক,ড্রাইভিং সম্পর্কে নুন্যতম অভিজ্ঞতাও নেই। যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। আসন চাইলে অনেক সময় তাদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয়। ঘুমধুম-তুমব্রু-বালুখালী সিএনজি,মাহিদ্রা সমিতির সভাপতি নুরুল কবির বলেন, ‘অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়নি ঈদ উপলক্ষে হয়তো বকশিশ নিয়েছে, যদিওবা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে থাকে প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে যাত্রীগণ সরজমিনে তদন্ত পূর্বক অসাধু গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবী জানান।