প্রকাশিত: ৩০/০৫/২০২১ ৩:৫২ পিএম , আপডেট: ৩০/০৫/২০২১ ৩:৫৩ পিএম

‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে, যারা আগ্রহ নিয়ে আসে তাদের সঙ্গে নিয়ে চলো রে’ অনেকটা এই নীতি মেনেই আচমকায় উখিয়া প্রেসক্লাবের নবীন প্রবীণ সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত হয় এক বাইক ট্যুর।

প্রেসক্লাবের হোয়াটসএপ গ্রুপের হঠাৎ উঠা আলোচনার প্রেক্ষিতে উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় ফারুক আহমদ ট্যুরের নামকরণ করেন ‘জাস্ট গো’। যদিও নামকরণের পিছনের প্রকৃত অর্থ একমাত্র শ্রদ্ধেয় ফারুক বদ্দায় জানেন।

হঠাৎ উঠা আলোচনা ও নামকরণের পরপরই প্রেসক্লাবের বিকালের আড্ডার পর এক দফা প্রথম প্রস্তুতি ও করণীয় নির্ধারণে আলোচনা হয়। নামকরণের মতনই এই আলোচনা ও বাইক ট্যুর আয়োজনের উদ্যোক্তা আমাদের ফারুক বদ্দা।

এই আলোচনায় উপস্থিত থেকে দিক নিদের্শনা দিয়ে সকলকে আরো অনুপ্রাণিত করেন উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিক উদ্দিন বাবুল।

এইবার আসলো ফারুক বদ্দার আলোচনার পালা। ফারুক বদ্দা প্রথমেই বলে দিলেন খাবার পাহাড়ী মুরগী (চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় শিয়ারী কুরা) আর মহিষের মাংস, সাথে একটু ভর্তা। পথে নাস্তা হবে গরুর দুধ, অর্গানিক পেঁপে সহ আরো অনেক কিছুই। প্রথমেই ফারুক বদ্দার একগাধা পরিকল্পনা ও আয়োজন শুনে উপস্থিত সকল সদস্যই রাজি।
আয়োজন হবে বাইক ট্যুর ‘জাস্ট গো’।

গত পিকনিকে র‍্যাফেল ড্রতে পুরস্কার হিসেবে ফারুক বদ্দা ও সদস্য আবদুল্লাহ আল আজিজ ৫ম পুরস্কার হিসেবে বদনা প্রদান, সদস্য শফিউল শাহীনের সেই বদনা জয়সহ সদস্য ফৈরদৌস ওয়াহিদের একসাথে ১ম ও ২য় পুরস্কার বিজয়সহ নানান স্মৃতির ফিরিস্তি। এই বার তো দাবী উঠেই বসলো ফেরদৌসকে টিকিট বিক্রি করা যাবে নাসহ আরো কত কি!। পরে আলোচনা করে ঠিক করা হলো স্থান। ‘উখিয়া প্রেসক্লাব থেকে বালুখালী মৈত্রী সড়ক হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু’। দিন ২৬ মে বুধবার। আর যাত্রার বাহন হবে মোটর সাইকেল।

সদস্যদের মধ্য থেকে দাবী উঠলো এইবারো একটা টিশার্ট হওয়া দরকার। এতোক্ষণ আলোচনার অংশ হয়ে থাকা প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুল নিজ উদ্যোগে টিশার্ট প্রদান করার ঘোষণা দেন। এইখানে বলা বাহুল্য এই আয়োজনের প্রধান কারিগর- উদ্যোক্তা ও পিকনিকের আনন্দের মধ্যমণি ছিলেন ফারুক বদ্দায়।

পরে আবারো প্রেসক্লাবে বসে ২য় প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা। সেই সভায় ঘূণিঝড় ‘ইয়াশ’ এর প্রভাব ও আঘাত হানার আশংকার বিষয় টি আলোচিত হয়। তবে আমরা দমে যাওয়ার পাত্র নয়। পরে দিন পরিবর্তন হয়ে ২৯ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। আলোচনা সভার পরে বৃষ্টির সন্ধ্যায় উন্মুক্ত আলোচনায় থাকা সকলকে শ্রদ্ধেয় চাচা জসিম উদ্দিন চৌধুরীর উদ্যোগে আপ্যায়ন করা হয় চালের রুটি আর গরুর মাংস দিয়ে।

ট্যুরের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রেসক্লাবের আমগাছের নিচে আগ্রহী সকলে মিলিত হয়। ট্যুরের চমক হিসেবে ফারুক আহমেদ আবারো বিভিন্ন আয়োজনের কথা তুলে ধরে সকলকে আরো অধিক আগ্রহী করে তোলেন। সবাই দাবি করেন মেন্যুতে যেন পাহাড়ী মুরগী (চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় শিয়ারী কুরা) যেন বাদ না পড়ে। তিনি সকলকে প্রস্তুতি সম্পন্নের বিষয়টি জানান দেন। সেই সাথে নির্ধারণ করা হয় ট্যুরের একটি সিডিউল।

ট্যুরের দিন ২৯শে মে মুকুল ভাইয়ের প্রধানকৃত টি-শার্ট পরে অংশগ্রহণকারী প্রেস ক্লাবের সদস্যরা বাইক নিয়ে হাজির। দুর্ভাগ্য জনক ভাবে সদস্য ফেরদৌস ওয়াহিদের মায়ের অসুস্থতার কারণে তার যেতে না পারা সকলের মন খারাপেরও কারণ হয়ে দাড়ায়।

তবুও ট্যুরের সিডিউল মোতাবেক সকালের নাস্তার গন্তব্যস্থল বালুখালীর ক্যাফে হাইওয়ে আর সকালের নাস্তার আয়োজক প্রেসক্লাবের সদস্য শ.ম গফুর ভাই। খিচুড়ি দিয়ে নাস্তা শেষ সকলেই একত্রে বালুখালী মৈত্রী সড়ক দিয়ে যাত্রা শুরু। যাত্রাপথে ঘুমধুম মৈত্রী সড়ক বিজিবির বিওপি এর সামনে প্রথম দফা ফটোসেশন করেন প্রেসক্লাবের অংশগ্রহণকারীরা।

ফটোসেশন শেষে আবারো রওনা। একদম গ্রামীণ সড়ক দিয়ে যাচ্ছে বাইক। আর পথে পথে বিজিবি সদস্যদের চেকপোস্ট। গ্রামীন পথ দিয়ে যাত্রা পথে প্রেসক্লাব সদস্যরা পরিদর্শন করেন নির্মিতব্য সীমান্ত সড়ক। আরেকদফা ফটোসেশন ও ভিডিও ফুটেজ নেওয়া শেষে আমাদের গাইডের মতনই কাজ করা সদস্য শ.ম গফুরের পিছন পিছন চলা।

ঘড়ির কাটায় সময় যখন ১১টা গ্রামীণ সড়ক গুলো
দিয়ে বাইক চালিয়ে আমরা থামলাম সিডিউল মোতাবেক অর্গানিক গ্রুপের গার্ডেনে অর্গানিক ফল, দুধসহ আপ্যায়নে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে। গাছের ছায়ায় বাইক গুলো রেখে সবাই প্রবেশ করলাম বাগানে। বাগানের চারিপাশে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল ও ফল গাছ, মাছ চাষের পুকুর। পাহাড়ে উঠে বাগানের আপ্যায়ন কক্ষের গোল টেবিলে সকলে মিলিত। গোল টেবিলে সকলে যখন মিলিত তখন প্রেসক্লাব সহ নানান বিষয় নিয়ে গল্পের ফোয়ারা বইছে। আড্ডায় আমাদের সাথে আরো যোগ দিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি ডিসবির সদস্য আরিফুল ইসলাম ভাই। সেইসময় আসলো অর্গানিক পেয়ারা। সবাই পেয়ারা খেয়ে এতোই তৃপ্ত যে আরো পেয়ারার চাহিদা দিয়ে বসলো। পরে আসলো অর্গানিক পেঁপে ও দুধ।

ভেজালের ভিড়ে অর্গানিক ফল খাওয়ার পর সকলেই রওয়ান দিলো নাইক্ষ্যংছড়ির উদ্দেশ্যে। পথ চলতে চলতে আসলো পার্বত্য অঞ্চলের সেই উঁচু উঁচু পাহাড়ের উপর তৈরী সড়ক। কম বেশি সকলে এই সড়কে নতুন বাইক চালানোই ভয় কিছুটা তো কাজ করতেছিলো।
একটা উঁচু পাহাড় সাপের মত একে বেঁকে চালিয়ে উঁচুতে উঠে আমরা অপেক্ষা করতেছিলাম বাইক ট্যুরে অংশ নেওয়া প্রবীন সদস্য চাচা জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও দীর্ঘদিন পর হঠাৎ করে বাইক চালানো ফারুক বদ্দার জন্য। সেই ফাঁকে নিজ নিজ মতন করে ছবি তোলা।

আর সেইখানে পেলাম বাইক নিয়েই ঘুরতে যাওয়া উখিয়ার ইনানীর সন্তান তরুণ ডাক্তার আশরাফুল আলম। তিনি একদিন আগেই বাইক ট্যুরে গিয়ে এই সড়ক দিয়ে ফিরছেন উখিয়া।

অন্যদিকে চাচা জসিম চৌধুরী সেই পুরাতন মোটরসাইকেল দিয়েও সুউচ্চ পাহাড় উঠে গেলো। আর ফারুক বদ্দা পিছনেই রয়ে গেলো। চাচা জসিম চৌধুরীর তারুণ্যে সবাই আরেক দফা উজ্জীবিত। আবারো উঁচু নিচু সড়ক দিয়ে পথ চলা। চলতি পথে এমন কিছু ঢালু রয়েছে যা নতুন চালকদের জন্য আসলেই বিপদজনক। পরে শেষ পাহাড়ের ঢালু দিয়ে সবাই নেমে গেলেও নতুন করে বাইক হেন্ডেল ধরা ফারুক বদ্দা ও চাচা জসিম চৌধুরী তখনো নামতে পারে নি। পরে চাচা জসিম চৌধুরী সাহসিকতার সহিত নেমে গেলেও কিন্তু ফারুক বদ্দা সেই উচ্চ পাহাড়ে আটকে পরে। অবশেষে স্থানীয় এক যুবকের সহযোগিতায় ফারুক বদ্দাও নেমে আসলো সেই পাহাড় বেয়ে।

সময় তখন ১:৩০। হঠাৎই সিদ্ধান্ত দেখতে যাবো নাইক্ষ্যংছড়ি আশারতলী চা বাগান। আমরা কয়েকজন সেই লক্ষ্যে বাইক টেনে চলতে থাকলাম। যদিও আমরা কেউ চিনতাম না গন্তব্যস্থল। নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পথে পথে বিজিবির টহল আর চেকপোস্ট। যেতে যেতে অনেক দুর গিয়েও যেন পথ শেষ হচ্ছে না। পুরো নাইক্ষ্যংছড়ির সড়কগুলো ছিলো উন্নত। আরো কতদূর গিয়ে সড়কের কাজ চলায় ইট আর কংকরের মধ্যে পড়লাম সবাই। রাস্তার কাজ চলতে দেখে অনেকে চা বাগান দেখার আশা হারিয়ে উল্টো পথে অনেকেই নাইক্ষ্যংছড়ির দিকে ফিরতে লাগলো।

রইলাম আজিজ, শফিউল শাহীন আর আমি। এতদূর এসে তরুণ সাংবাদিক আজিজ দেখে যাওয়ার পক্ষেই। আমরা চলতে লাগলাম আর চলতে চলতে পাকা রাস্তা শেষ করে ইটের রাস্তা। পথিমধ্যে আমরা ১০ জনের অধিক মানুষের নিকট জিজ্ঞেস করলাম চা বাগান আর কতদূর। ইটের রাস্তা শেষ করেও পাহাড় কেটে করা রাস্তায় উঠে গেলাম। যেখানে এপথ ছিলো অমৃসণ। গন্তব্যস্থল না চিনায় রাবার বাগানের ভিতর দু’মুখী রাস্তার মাথায় আমরা দাড়িয়ে গেলাম। আশে পাশেই নেই কেউ। আমরা দাড়িয়েই রইলাম। হঠাৎ একটি গাড়ির আওয়াজ শুনতে পাই। তাদের দাড় করিয়ে জানতে চাইলাম। জানতে পারি তারাও চকরিয়া থেকে চা বাগানই দেখতে এসেছে। এই রকম মাটির রাস্তায় রাবার বাগানের ভিতর দিয়ে আরো সামনে পথ চলতে হবে ৩-৪ কি:মি:।

আশারতলী চা বাগান দেখতে এসে আমরাও শেষতক হারিয়ে ফেললাম আশা!পরে আমরা ৩ জনই ফিরে আসলাম নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকের উদ্দেশ্যে। যেখানে আয়োজন করা হয়েছে দুপুরের খাবার অর্থাৎ পাহাড়ী মুরগীর (চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় শিয়ারী কুরা) আয়োজন।

ঘন্টাখানেক গাড়ি চালিয়ে আমরা ফিরে গেলাম নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকে।
আমরা পৌঁছানোরর পূর্বেই উখিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম আনোয়ার-এর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে উখিয়া প্রেস ক্লাবের সকল সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়িতে স্বাগত জানালেন নাইক্ষ্যংছড়ির সর্বজন শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেক সকল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকলেও উখিয়া প্রেসক্লাবের সাংবাদিকের সম্মানার্থে পর্যটন কেন্দ্রটি খুলে দেন নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও মহোদয়। এইখানে বলতেই হয় দুপুরের খাবার আয়োজন সহ লেক দর্শনে সকল ধরনের সার্বিক সহযোগীতা করেন নাইক্ষ্যংছড়ি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন খালেদ।

লেকের ধারে বসে পাশ্ববর্তী দুই উপজেলা নিয়ে চলছে নানান গল্প। ইতিমধ্যে দুপুরের খাবার পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। মাঈনুদ্দিন খালেদ ভাইসহ সকলেই বসলাম দুপুরের আহার গ্রহনে।
অন্যদিকে উদ্যোক্তা ফারুক বদ্দা ব্যস্ত সকলে ঠিকঠাক মতো পাচ্ছে কিনা দেখার জন্য। লেকের ধারে সীটে বসে গ্রুপ হয়ে সকলেই খেলাম দুপুরের খাবার। ফারুক বদ্দা জানতে চাইলো পাহাড়ী মোরগ ঠিক আছে কিনা? সকলে ঘরোয়া পরিবেশের খাবার খেয়ে অনেক বেশি তৃপ্ত।

খাবার শেষে সবাই যার যার মতন ছবি তোলা আর গল্পে মাতোয়ারা। এরিমধ্যে আমাদের সাথে যোগ দিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ির দুই সাংবাদিক জাহাজ্ঞীর আলম কাজল ও আমিনুল ইসলাম।
পরে একসাথে লেকের ধারে নাইক্ষ্যংছড়ির সহকর্মীদের সাথে ছবি তোলা।
লেকের বাইরে এসে টং দোকানে আবারো চায়ের আড্ডা। ৪ টায় আমরা রওয়ানা দিলাম নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে। নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে রামু চা বাগান হয়ে বাইপাস দিয়ে রামু-মরিচ্যা সড়ক দিয়ে রামু ক্যান্টনমেন্ট ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের সৌন্দর্য দর্শন শেষে উখিয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের যাত্রা।

ট্যুরে প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মোহাম্মদ আনোয়ারের কক্সবাজারের কাটিয়ে আসা দীর্ঘ ২৫ বছরের সাংবাদিকতা জীবন ও সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বকসীর স্মৃতিচারণ, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির জুশানের আড্ডা, সাধারণ সম্পাদক কমরুদ্দিন মুকুলের আন্তরিকতা, সিনিয়র সদস্য জসিম চৌধুরীর তারূন্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী বাচ্চুর দীর্ঘ দিন পর
বাইক রাইড, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু ভাইয়ের সর্বজনপ্রিয়তা, সদস্য শফিউল শাহীনের লেকের গোপন ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ, সদস্য আবদুল্লাহ আল আজিজের পাহাড় জয়ের সাহসীকতা আর সদস্য ইব্রাহিম মোস্তফার নিরবতা ও খাবার খাইতে না পারার আফসোসতা, আমি নিজে ভ্রমণ অবজারভেশন করা।

সর্বশেষ আয়োজক সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী সদস্য ফারুক আহমেদের সফল আয়োজন ও বরাবরের মতন আয়োজনের আনন্দের মধ্যমণি হয়ে উঠা সকল কিছুই হয়তো সময়ের স্মৃতিতে আবদ্ধ হয়ে থাকবে।

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে সবকিছুই যখন মুঠোফোন বন্দি হয়ে যাচ্ছে তখন এই ধরনের রিফ্রেশমেন্ট নিজের মানসিক সন্তুষ্টি আরো অনেক বৃদ্ধি করে। শেষ একটা কথায়, সময় এসেছে চিরাচরিত ধারার পরিবর্তনের, পজিটিভিটিই পারে পরিবর্তন ও নতুনত্ব আনতে। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ সবাইকে।

বিঃদ্র: আয়োজনের অনেক আনন্দের চিত্রই লেখার ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়।

লেখক,
শহিদ রুবেল
সদস্য, উখিয়া প্রেসক্লাব
প্রতিনিধি, দৈনিক ইনানী ও আমার সংবাদ

পাঠকের মতামত

আসলে কি বয়কট করছি!

আমরা বাঙালি নতুন ইস্যু পেলে দৌড়ে তা দেখার জন্য উৎকণ্ঠা প্রকাশ করি। আজ বয়কট নিয়ে ...