উখিয়া সীমান্ত এলাকার বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। এ প্রতিষ্ঠানে গুণগতমানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ থাকলেও মানসম্মত ভবন না থাকার কারণে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ।
সম্প্রতি এ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রীদের সাথে আলাপ করা হলে তারা জানান, ভবন সংকটের কারণে বর্ষায় বৃষ্টির পানি, আর শুষ্ক মৌসুমে প্রচণ্ড তাপমাত্রা সহ্য করে পড়ালেখা করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার সবুজ সেন জানান, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলে বর্তমানে ৫১০ জন নিয়মিত ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ভবন সংকটের ব্যাপারে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হলে তিনি ৬০ হাজার টাকার একটি অনুদান প্রদান করেন। ওই টাকায় ২ কক্ষ বিশিষ্ট একটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হলেও ছাদ ও ফ্লোর করা সম্ভব হয়নি বিধায় ৭ম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের অসহনীয় কষ্টের মধ্যে পড়ালেখা করতে হচ্ছে।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আসিবুল কাদের জয় জানান, নিচে কাদামাটি, ওপরে টিনের ছাউনির গরমে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলার উপক্রম হলেও করার কিছু নেই। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জোসনা আকতার জানান, সম্পূর্ণ নাজুক পরিবেশের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছে। এমতাবস’ায় একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবন অতীব জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ে কর্মরত শিক্ষক অমল ভট্টাচার্য্য জানান, শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এ স্কুল বিগত এসএসসির ফলাফলে বিজ্ঞান বিষয়ে এ-প্লাসসহ শতভাগ ছাত্রছাত্রী পাস করে আসছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফজল কাদের ভুট্টো জানান, সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি এ স্কুলে একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবন বরাদ্দ দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জরুরিভিত্তিতে উক্ত ভবনের কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।