মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া::
উখিয়ার পার্শ্ববর্তী সীমান্ত নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু ঝলপাই তলী এলাকায় সরকারী বন ভূমির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। বিলীন হচ্ছে বন ভুমি, ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। এতে স্থানীয় বন বিট কর্মকর্তা ও রেঞ্জ কর্মকর্তার রহস্যজনক ভুমিকা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সুনামধন্য ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ চৌধুরীর ছোট ভাই মোঃ বারেক তার চেয়ারম্যান ভাইয়ের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঘুমধুম বেদবুনিয়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ফজল আহম্মদের ছেলে এলাকার চিহ্নিত ভুমি দস্যু রশিদ আহম্মদ ও তুমব্রু এলাকার ভুমি গ্রাসী আমির বশর একটি বৃহত্তর সিন্ডিকেট তৈরি করে রেজু বিট কর্মকর্তা ও লামা রেঞ্জ কর্মকর্তাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে ভুমিদস্যুরা। রোববার সকাল ১০ টার দিকে তুমব্রু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝলপাইতলী এলাকার সরকারী বন ভুমির পাহাড় কেটে ডাম্পার যোগে মাটি নিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যানের ছোট ভাই বারেকের বাজার ভরাটের জায়গায়। জানতে চাইলে বারেক ক্ষব্ধ কন্টে বলেন, পাহাড় কাটলে কি হয়, এখানেতো সব আমাদের। তাইলে পাহাড় কাটতে দোষ কি? ভুমি দস্যু রশিদের কাছ থেকে জানতে চাইলে, সে পাহাড় নিজে কাটেনা। সে পাহাড় কাটায় শ্রমিক দিয়া। আরেক গডফাদার আমির বশর বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চেয়ারম্যানের ভাই বারেক ও রশিদের সাথে কথা বলেন। রেজু বিট কর্মকর্তা মোঃ ছৈয়দ আলম পাহাড় কাটা সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে দাবী করেন। লামা রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুস ছবুর বলেন, আমিত অন্য রেঞ্জে বদলি হয়ে গেছি, তার পরেও বিষয়টি আমি বিভাগী বন কর্মকর্তাকে জানাচ্ছি এবং পাহাড় কেখোদের বিরুদ্ধে যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সরর্দার শরিফুল ইসলাম বলে, অতি শিগ্রই পরিবেশ ও বন ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।