বেশি বেতনে চাকরি পেতে কে না চায়? কিন্তু যেখানে চাকরি পাওয়াই দুষ্কর সেখানে উচ্চ বেতনে চাকরি কীভাবে পাওয়া যায়? উত্তরটি হলো চাকরির জন্য দেওয়া আপনার জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) ।
সুইজারল্যান্ডে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (২০১৬) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়ার জন্য আপনার জীবন বৃত্তান্তে থাকতে হবে পাঁচ দক্ষতার কথা।
তবে যেই পাঁচ দক্ষতার কথা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সেগুলো পাঠকদের সুবিধার্থে তুলে ধরা হলো :
জটিল চিন্তা : উচ্চ বেতনে চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিল তথা যুক্তিশীল চিন্তা করার দক্ষতার কথা লিখা উচিত। যারা চাকরি দিচ্ছেন তাদের খুব ভালো পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে পারে এমন লোক দরকার হয়, যারা মুনাফা এবং কীভাবে তা দ্রুত বাড়ানো যায় তা বুঝতে পারে।
জটিল সমস্যার সমাধান : প্রতিবেদন অনুযায়ী শতকরা ৩৬ ভাগ শিল্পপ্রতিষ্ঠান জটিল সমস্যার সমাধান করার দক্ষতাকে প্রধান দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। কোনো জটিল সমস্যার সমাধান করার সময় চিন্তার ক্ষমতা থাকতে হবে আপনার মধ্যে।
সৃজনশীলতা : ২০১৫ সালে এটা ছিল তালিকার ১০ নম্বরে। কিন্তু এখন এটা প্রথম তিন দক্ষতার মধ্যে ভাবা হয়। নতুন প্রযুক্তি অসাধারণ, কিন্তু নতুন প্রযুক্তিকে আরো নতুন নতুনভাবে ব্যবহার করতে অর্থাৎ উপযোগিতা বাড়াতে সৃজনশীলতা প্রয়োজন। সৃজনশীলতার দক্ষতা থাকলে বাজারে চাহিদা তৈরি করা যায়, মানুষের আগ্রহ তৈরি করা যায়। ফলে সেই প্রযুক্তিও ব্যবহার দ্রুত ফুরায় না। তাই, উচ্চ বেতনে চাকরি পেতে সৃজনশীলতা জরুরি।
ভাবোদ্দীপক/আবেগি বুদ্ধিমত্তা : ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ভালো চাকরির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর এর জন্যে প্রয়োজন ভাবোদ্দীপক বুদ্ধিমত্তা বা ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স। পেশাজীবী মানুষকে বুঝতে এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করতে এই দক্ষতা আবশ্যক। রোবট আর যাই হোক অনুভূতি বুঝতে পারে না, তাই আসছে দিনে এটা মানুষের অন্যতম দক্ষতা বলে বিবেচিত হতে পারে।
দলগত দক্ষতা : দলের মধ্যে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা আরো জরুরি। একটা রোবটের মধ্যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইনস্টল করা থাকলে সে করতে পারবে। কিন্তু মানুষ পারে দলগত কাজের মাধ্যমে একটা জটিল বিষয়কে আরো ভালোভাবে বুঝতে, ব্যাখ্যা করতে। সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় দলবদ্ধ হয়ে কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। তাই এই গুণ আপনাকে উচ্চ বেতনে চাকরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবার চাইতে আলাদা সুবিধা দেবে।