অসংক্রামক রোগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ অন্যতম। উচ্চ রক্তচাপ প্রায়ই একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত। হৃৎপিণ্ড রক্ত সঞ্চালন করার সময় শিরা ও ধমনীর ওপরে যে পরিমাণ চাপ দিয়ে থাকে তাই হচ্ছে রক্তচাপ। কিন্তু যখন বিভিন্ন কারণে হৃৎপিণ্ডের রক্ত নালী সরু হয়ে শক্ত হয় এবং হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে যায় তখন রক্ত চলাচল করতে হৃৎপিণ্ডের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রায় শক্তির বা চাপের প্রয়োজন হয়, এটাই হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ।
হৃৎপিণ্ড এভাবে চাপ প্রয়োগ করে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে রক্ত ছড়িয়ে দেয়। এই রক্ত চাপের মাধ্যমে বোঝা যায় হৃৎপিণ্ড কি পরিমাণ রক্ত সরবরাহ করছে অথবা রক্ত নালী রক্ত প্রবাহে কি পরিমাণ বাধা প্রধান করছে। রক্ত নালীর সরু বা প্রশস্তের ওপর রক্ত প্রবাহ নির্ভর করে। রক্ত নালী সরু হলে রক্ত চাপ বাড়বে কিন্তু রক্তের প্রবাহ কমবে এবং রক্ত নালী প্রসস্থ হলে রক্ত প্রবাহ বাড়বে, সঙ্গে সঙ্গে রক্ত চাপ কমবে।
জীবন যাত্রার পরিবর্তন এনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বংশগতভাবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমানো সম্ভব না। তবে এরকম ক্ষেত্রে যে সব উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর ব্যাপারে বেশী মনোযোগী হওয়া উচিৎ।
উচ্চ রক্তচাপ কমানোর জন্য ডাক্তারের শরণাপন্ন হন অনেকেই। কিন্তু ঘরে বসে মাত্র একটি শরবত তইরি করার প্রক্রিয়া জানলেই আপনার উচ্চ রক্তচাপ থেকে মুক্তি মিলবে।
পালং শাকের রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন থাকে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। জার্নাল অব ফিজিওলজি-হার্ট এবং সার্কুলুলারি ফিজিওলজিতে প্রকাশিত ফলাফলটি দেখিয়েছে যে, পালং শাকের রস সম্পূরক হৃদরোগের সাথে সহানুভূতিশীল স্নায়ুতন্ত্রের উদ্দীপনাকে হ্রাস করতে পারে এবং হৃদকম্পন সথিক রাখতে সাহায্য করে।
২০ জন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিনিধির উপর এই গবেষণা করা হয়। তাদের প্রত্যেকের বয়স ২৭ বছরের কাছাকাছি। তাদের সকল গবেষণার ফলাফল পালং শাকের উপর ইতিবাচক। তাদের গবেষণা থেকে আর জানা যায়, প্রতিদিন মাত্র এক গ্লাস পালং শাকের শরবত পান করলে ব্যায়াম করতেও শক্তি যোগাবে শরীরে।-সূত্রঃ ইন্ডিয়া টুডে।