দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথে কালুরঘাট সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হতে চলতি বছর লেগে যাবে। এখনো শেষ হয়নি আটটি স্টেশনের কাজও। এর মধ্যেই তড়িঘড়ি উদ্বোধন করতে যাচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। আগামী ১২ নভেম্বর এই রেলপথের উদ্বোধনের কথা রয়েছে। তবে শুধু ওই দিনই ট্রেন চলবে। কাজ শেষ হলে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে পুরোদমে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
রেললাইন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মুহম্মদ আবুল কালাম চৌধুরী বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘উদ্বোধনের পর বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনে যেতে আরও দুই-তিন মাস লাগবে। এ বছরের মধ্যেই এই রেলপথে আমরা ট্রেন চালুর চেষ্টা করব।’
রেলওয়ে পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কালুরঘাট সেতু সংস্কার হওয়ার আগে পটিয়া রেলস্টেশনে ছয়টি বগি নিয়ে যাওয়া হয়। ছয়টি বগির সঙ্গে একটি ২২০০ সিরিজের ইঞ্জিনও রয়েছে। কোরিয়া থেকে আনা একেকটি বগিতে যাত্রী বসতে পারবে ৬০ জন। ১২ নভেম্বর দোহাজারী থেকে কক্সবাজার যাবে ট্রেনটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পরিবহন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী মাসে এই রুটে ট্রেন চলবে, অথচ তারা অপারেশন বিভাগকে এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। নিয়োগ করা হয়নি স্টেশন মাস্টার, সহকারী স্টেশন মাস্টার, পয়েন্টম্যানসহ অন্যান্য কর্মচারী। এই রুটে কয়টি ট্রেন চলবে, সেটির টাইম-টেবিলও প্রস্তুত হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘১২ নভেম্বর উদ্বোধনের পরই ট্রেন আর চালানো হবে না। পুরোপুরি এই রুটের কাজ শেষ হলেই তবেই যাত্রী পরিবহন করবে ট্রেন। এই জন্য আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। আপাতত সোনার বাংলা ও সুবর্ণ এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাবে।’
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু জাফর মিঞা আজকের পত্রিকাকে দাবি করেন, ‘১২ নভেম্বর উদ্বোধনের আগেই কালুরঘাট সেতুর কাজ শেষ হবে। আপাতত কালুরঘাট সেতু দিয়ে শুধু ট্রেন চালাতে পারব। অন্যান্য যানবাহন চলাচলের জন্য আরও সময় অপেক্ষা করতে হবে।’
এদিকে জনবল, ইঞ্জিন ও বগি সংকটের কারণে শুরুতে মাত্র এক জোড়া ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করেছে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়। অর্থাৎ একটি ট্রেন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যাবে এবং ওই ট্রেনটিই আবার ফিরবে। দুটি বিকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, ট্রেনটি রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা করে পরের দিন সকালে কক্সবাজারে পৌঁছাবে। সেই ট্রেন পরের দিন ঢাকায় ফিরবে।
পাঠকের মতামত