উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের থাইংখালী-তেলখোলা গ্রামীণ সড়কের বেহাল অবস্থায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় লোকজন। প্রায় ৬ কি:মি: দীর্ঘ এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী অসংখ্য লোকজন, রোগী, স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। রাচ্চার দুরবস্থায় অনেক ছাত্রছাত্রীর স্কুল যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে। নিয়জিত ঠিকাদার কাজ শুরু না করায় ব্রিক সলিং কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় বর্তমানে ভুক্তভোগী লোকজনদের দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের উপজাতি তঞ্চঙ্গা অধ্যুষিত তেলখোলা উপজাতি পল্লীর বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম থাইংখালী-তেলখোলা সড়কটি। অধিকাংশ পাহাড়ি খাদে সড়কটি অবস্থান হওয়ায় শুস্ক মৌসমে যেনতেন করে পায়ে হেঁটে ও জীপ, অটোরিক্সা করে যাতায়াত করা সম্ভব হলেও বর্ষাকালে তাদের দুর্ভোগের অন্ত থাকে না। মাঝে মধ্যে পাহাড়ি রাস্তা বেয়ে দুই একটি যত্রিবাহি জীপ চলাচল করলেও অধিকাংশ পথ যাত্রীদের গাড়ী ঠেলেই পার হতে হয়। স্থানীয় তেলখোলা গ্রামের স্কুল ছাত্র আনন্দ তঞ্চঙ্গা সহ আরো কয়েক জন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্ষকালে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে প্রায় ৬ কি:মি: কাদা রাস্তা পেরিয়ে স্কুলে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এখানকার অনেক আগ্রহী শিক্ষার্থী থাকলেও তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় পার হয়ে মাধ্যমিকে যেতে ইচ্ছুক হয় না। অভিভাবকরাও শিশুদের কষ্ট দুর্ভোগের মাঝে স্কুলে যেতে দেয় না।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার মানিক তঞ্চঙ্গা জানান এখানে প্রায় ৬/৭ শ জনের মত উপজাতি তঞ্চঙ্গা রয়েছে। উপজাতিদের পাহাড়ে বিভিন্ন উৎপাদিত তরি তরকারি, সবজি ও অন্যান্য ফসল অনুন্নত যোগাযোগের ফলে স্থানীয় দালাল ও ফঁড়িয়াদের হাতে জিম্মি থাকতে হয়। ফলে উপজাতিরা তাদের পরিশ্রমের ফসল বিক্রি করে বিনিয়োগকৃত পারিশ্রমিক ও পায় না। তিনি বলেন, আমাদের রাস্তাটি কিছু অংশ সড়ক কার্পেটিং ও এইচবিবি, ব্রিক ফ্লাট সলিং করা হলেও আরো প্রায় ৩ কি:মি: বেশি সড়ক কাচা থাকায় কাদায় একাকার হয়ে যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা পায়ে হেটে চলাচল করেও কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠে। পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থাইংখালী থেকে তেলখোলা উপজাতি পল্লী পর্যন্ত সড়কটি বর্তমানে খুব নাজুক অবস্থায় রয়েছে। এখনো প্রায় ৪ কি:মি: এর বেশী কাচা থাকায় জন দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। গত অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ও রাজস্ব উন্নয়ন তহবিল থেকে দুই পর্যায়ে প্রায় ৯লক্ষ টাকার প্রায় ১ কি:মি: এর বেশী ব্রিক ফ্লাট সলিং দরপত্র সম্পন্ন হলেও টিকাদাররা কাজ শুরু না করায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। উখিয়া উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, দরপত্র অনুযায়ী কাজ করার কথা থাকলেও ইটের সংকট থাকায় টিকাদাররা কাজ করতে পারছে না। ঐসড়কে জন দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিনি আগামী অর্থ বছরের মধ্যে উক্ত সড়ক ব্রিক সলিং করার কথা জানান।