দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এতে বিভিন্ন জায়গায় বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কোথাও কোথাও তা গড়ায় সহিংসতায়। ঘটে প্রাণহানির ঘটনাও।
তবে মে মাসে শুরু হতে যাওয়া উপজেলা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল পুনর্গঠনে জোর দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল বেড়েছে তা দেখতে চায় না দলটি। সেজন্য মার্চের মধ্যে বিরোধ নিরসনে মাঠে নামবে ৮টি বিভাগীয় দল। কেন্দ্রের নির্দেশনা না মানলে এবার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন নীতি নির্ধারকরা।
এরই মধ্যে গতকাল শনিবার দলটির বিশেষ এক বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বতন্ত্র নির্বাচন করা নিয়ে মনোমালিন্য ও দোষারোপ বাদ দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্যে যেন দ্বন্দ্ব সংঘাত না হয়।
এই বিশেষ বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা, উপজেলা, মহানগর, পৌরসভার সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও দলের সংসদ সদস্য, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়রেরা। এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, জাতীয় কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বর্ধিত সভা শেষে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সহিংসতার ঘটনা যাতে না ঘটে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন—যেই সহিংসতা করুক তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘প্রথমে আমরা বিভাগ অনুযায়ী ৮টি দলে স্থানীয়দের সঙ্গে বসব। এরপর আমরা জেলায় জেলায় বর্ধিত সভা করব।’
পাশাপাশি যেসব জেলা-উপজেলায় দীর্ঘদিন সম্মেলন হয় না, সেখানেও সম্মেলন করে দলকে সংগঠিত করার কথাও জানান কেন্দ্রীয় নেতারা।