ডেস্ক রিপোর্ট::
একরাতেই দেশে ফিরলো ১১ প্রবাসীর মরদেহ। এদের ১০ জনই মারা যান সৌদি আরবে। তার মধ্যে ৭ জন নিহত হন এক বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে। শুক্রবার রাতে শাহজালাল বিমানবন্দরে মরদেহ নিতে আসা স্বজনদের অভিযোগ, দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কর্মপরিবেশ পাননি তারা। এসব ঘটনা তদন্তের দাবি স্বজনদের।
ভাগ্য বদলের আশায় গত জানুয়ারিতে সৌদি আরব যান নারায়ণগঞ্জের আব্দুল মজিদ। শাহজালাল বিমানবন্দরেই ছেলের মাথায় শেষবারের মতো হাত বুলিয়েছেন বাবা আওলাদ হোসেন। নয় মাস পর একই জায়গায় সেই সন্তানের কফিনবন্দি মরদেহ নিতে এসে মুখে কথা নেই বাবার।
সৌদি যাওয়ার মাত্র চার মাসেই থেমে যায় মজিদের স্বপ্নযাত্রা। রাতে ঘুমানোর সময় বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মারা যান গেলো এপ্রিলে। স্ত্রী আর ছয় বছরের এক সন্তান রয়েছে মজিদের।
একই ঘটনায় মজিদের সঙ্গে মারা যান আরও ছয়জন। তারা হলেন নরসিংদীর পাভেল ও রবিন মিয়া, কিশোরগঞ্জের ইকবাল হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেলিম মিয়া ও মোবারক হোসেন, গাজীপুরের হিমেল ভুইয়া।
এদিকে, বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনায় সৌদিতে নিহত হন চাঁদপুরের সিরাজুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জের শামছুল আলম ও ফেনীর নুরুল ইসলাম। এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাকিল হোসেনের মরদেহও আসে শুক্রবার রাতে।
মরদেহ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ৩৫ হাজার টাকা করে দেয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড।
মৃত্যুর কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রবাসী এসব শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে স্বজনদের। এক্ষেত্রে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।