ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২২/০৪/২০২৪ ৫:১১ পিএম

দেশে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৬৬ হাজার এবং বর্তমানে এর শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ জন।
প্রতিজন শিক্ষার্থী বছরে কেবল ২ টি করে গাছ রোপন করলে রোপণ করা গাছের মোট সংখ্যা হবে ৪ কোটি ২০ লক্ষটি।নূতন বছরে বই বিতরণ কার্যক্রমের ন্যায় প্রতি বর্ষা মৌসুমের যেকোন একটা দিন হতে পারে এই বৃক্ষরোপন দিবস। এভাবে টানা ৫ বছর কন্টিনিউ করা গেলে দেশে গাছের সংখ্যা ৫ গুণ বেড়ে যাবে ফলে চলমান তাপপ্রবাহে মানুষ অন্তত গাছের ছায়ায় কিছুটা হলেও বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহন করতে পারবে।
দেশের সকল ব্যাংকিং সেক্টর ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো এই ক্ষেত্রে তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে পারে।তাছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ,বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় তাদের সংশ্লিষ্ট উপজেলা অফিসারের মাধ্যমে সমন্বিতভাবে এই কাজের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করতে পারে।
সকল প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগণ স্বস্ব অফিসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে অভিহিত করে নিজ নিজ উপজেলার হালনাগাদ তথ্য প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যথাসময়ে পাঠাবেন।
শিক্ষার্থীদের এই কাজে আগ্রহী করে তুলতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অনুপাত অনুযায়ী প্রতিজন শিক্ষককে টার্গেট ঠিক করে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে চারাগাছ ও পরিচর্যা খরচও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে প্রদান করা যেতে পারে।সম্মানিত অভিভাবক ও জনপ্রতিনিধিদের এই কাজে সম্পৃক্ত করতে স্কুল পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে অবহিতকরণ সভা ও সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করা যেতে পারে।
আসন্ন বর্ষা মৌসুমে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করা সম্ভব।প্রয়োজন কেবল সদিচ্ছার ও যথাযথ সমন্বয়ের।
পরিচিত স্লোগান “গাছ লাগান,পরিবেশ বাঁচান” কে আমরা নূতন ভাবে বলতে পারি
“গাছ লাগান,জীবন বাঁচান”

‘একটি শিশু একটি গাছ,
ভরে যাক চারিপাশ’।

লেখক:
জিয়াউর রহমান মুকুল,
উপ-পরিচালক (স্বাস্থ্য ও পুষ্টি),শেড।
ইমেইল:[email protected]

পাঠকের মতামত

আসলে কি বয়কট করছি!

আমরা বাঙালি নতুন ইস্যু পেলে দৌড়ে তা দেখার জন্য উৎকণ্ঠা প্রকাশ করি। আজ বয়কট নিয়ে ...

নতুন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানোই যখন বড় চ্যালেঞ্জ!

মিয়ানমারের তিনটি প্রধান এথনিক রেজিস্ট্যান্ট গ্রুপ—তাং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (টিএনএলএ), মিয়ানমার ন্যাশনাল এলায়েন্স (এমএমডিএ) এবং ...