যশোরের কেশবপুর উপজেলায় পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেয়ার কথা বলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৬ জন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্রীদের পরিবার ও এলাকাবাসী ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক মকবুল হোসেনকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছে। এদিকে মকবুল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ১১ জন ছাত্রীর মধ্যে ৯ জন ও চতুর্থ শ্রেণির ১০ জন ছাত্রীর মধ্যে সাতজন ওই শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়েছে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কবীর হোসেন বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর আলী বলেন, ‘এই ঘটনা জানতে পেরে বুধবার দুপুরে এলাকার সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমানকে তদন্ত করতে পাঠানো হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।’ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ঘটনা শুনেছেন। দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের আইনে মামলা করার দাবি জানিয়েছেন ৯ জন ছাত্রীর অভিভাবকরা।
নির্যাতনের শিকার কয়েকজন ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে বলে, ‘আমাদের উপর নির্যাতনের মাত্রা এতোটা বেড়ে গেছে যে, আমরা বুধবার দলবদ্ধভাবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনন্দা সরকারকে ঘটনাটি জানাই।’
এ বিষয়ে সুনন্দা সরকার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ১১টায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভা ডাকা হয়েছে।’
মকবুল হোসেনের সাবেক সহকর্মী বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কাওসার আলী জানান, ইতিপূর্বে অন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকার সময় ছাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়ন করায় তাকে এই স্কুলে বদলি করা হয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মকবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাঠকের মতামত