বিভাগীয় শহরগুলোতে একের পর এক সমাবেশ করতে থাকা বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এখন ছাড় দিচ্ছি, ডিসেম্বরে ছাড়বো না। মুক্তিযুদ্ধের মাসে রাজপথ বিএনপির থাকবে না, থাকবে আওয়ামী লীগের। এই রাজপথ মুক্তিযুদ্ধের রাজপথ, বিজয়ের মাসের রাজপথ, বিজয়ের চেতনার রাজপথ।’
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ শান্তিমিছিল করে। এর আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশ শেষে দেশব্যাপী বিএনপির ‘নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে’ এই শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদের
বাড্ডা ইউলুপে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ওবায়দুল কাদের
এ সময় বিএনপিকে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে ডিসেম্বর মাস। আপনারা নাকি শেখ হাসিনাকে হটিয়ে খালেদা জিয়াকে নিয়ে আসবেন? ইরানের ইমাম খোমনি স্টাইলে ঢাকার রাজপথে বিপ্লব ঘটাবেন? জনতার শক্তির কাছে আপনাদের এই রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উবে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা ভুলে যান। নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে হবে। তত্ত্বাবধায়কের ভূত মাথা থেকে নামিয়ে ফেলেন। এটি আর হবে না। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সর্বোচ্চ আদালত নিষিদ্ধ করেছে। আমাদের কোনও দোষ নেই। ওইটা জাদুঘরে চলে গেছে।’
ডিসেম্বর মাসে ‘খেলা হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডিসেম্বরে মোকাবিলা হবে, আন্দোলনে হবে। আগামীতে নির্বাচনে হবে। ভোট চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলা হবে খুনিদের বিরুদ্ধে, ১৫ আগস্টের খুনিদের বিরুদ্ধে, ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপির বিরুদ্ধে।’
ঢাকার শান্তি সমাবেশ জনস্রোতে পরিণত হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে এসে বরিশালে বিএনপির সমাবেশের কথা ভাবছি। তারা টাকা দিয়ে ছয় জেলার লোক নিয়ে দুই-চার দিন আগে থেকে বরিশালে জমায়েত করেছে। আর ঢাকায় আমাদের এখানে ছয় থানার লোক, যা বরিশালের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আমার সামনে মিছিলের মাথা কোথায় জানি না। পেছনের মাথা আমেরিকান দূতাবাস পর্যন্ত গেছে। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে, তারা এখানেই থাকে। তারা দেখুন কার কত শক্তি।’
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা একেএম রহমত উল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিপ্লব বড়ুয়া, এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।
ছবি: ফোকাস বাংলা।