এখন থেকে বাড়িতেই পৌঁছে যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে আর বিআরটিএ কার্যালয়ে দিনের পর দিন ধর্না দিতে হবে না। ধরতে হবে না দালালও। শুধু একবার সেখানে গিয়ে পরীক্ষা আর আঙুলের ছাপ দিতে হবে।
তারপর বাড়িতেই পৌঁছে যাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স। আগামী ডিসেম্বর থেকে এই সেবা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে বিআরটিএ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে বিআরটিএতে মানুষের ভিড়। ভোগান্তির যেনো অন্ত নেই। লাইসেন্স পাবার প্রথমধাপ হলো শিক্ষানবিশ লাইসেন্স। সেটি পেতে আসতে হয় একদিন।
পরীক্ষা দিতে আসতে হয় আরেকদিন। পরীক্ষায় পাস করলে আঙ্গুলের ছাপ দিতে আসতে হয় আরেকদিন। এরপর করতে হয় লাইসেন্স পাবার আবেদন।
সব মিলে একটি লাইসেন্স হাতে পেতে বিআরটি কার্যালয়ে ধর্ণা দিতে হয় কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাতদিন। সেই সাথে আছে দালাল চক্রের দৌরাত্ম।
স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট ও বিতরণে এমন ধীর গতির চিত্র দেখে ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিও।
এমন বাস্তবতায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে গ্রাহকদের যুগের পর যুগ ধরে চলা এমন ভোগান্তির অবসান ঘটাতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, নতুন পরিকল্পনায় গ্রাহককে মাত্র একদিনেই লাইসেন্স পাবার সব প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবেন।
গ্রাহক চাইলে তার লাইসেন্স বাসায় পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করবে বিআরটিএ। গ্রাহককে পরিশোধ করতে হবে কুরিয়ারের ফি। ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ঘরে বসে লাইসেন্স পৌছে দেয়ার কার্যক্রম।
তবে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া কেউই আর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। এদিকে আটকে থাকা মোট ১২ লাখ লাইসেন্স প্রিন্টের করার কাজ শেষ হয়েছে। চলছে গ্রাহকদের পৌছে দেয়ার কাজ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাপানোর কার্যক্রম ধীরগতিতে হওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। সুত্র: একাত্তর