পাহাড় কাটার দায়ে তিনটা মামলা খেয়েছি, কখনো জেলে যেতে হয়নি

এখন যদি আমার ফাঁসিও হয় সম্পূর্ণ পাহাড় কেটে ফেলবো- মনচানু

উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮/১১/২০২৪ ৩:০৩ পিএম , আপডেট: ০৮/১১/২০২৪ ৩:০৪ পিএম

মুসলিম উদ্দিন, উখিয়া::
প্রতিযোগিতার মাধ্যমে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত একের পর এক পাহাড় কেটে সাবাড় করছে কক্সবাজারের উখিয়ার একটি চক্র। এদিকে পাহাড় কাটার কারণে হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। মাটি হারাচ্ছে তার স্বাভাবিক স্থায়িত্ব। রাত-দিন নির্বিচারে বন বিভাগের পাহাড় কেটে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা!

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চলছে প্রকাশ্যে নির্বিচারে পাহাড় কাটা। সচেতন মহল বলছেন, ব্যাপক ভূমিধসের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে পরিবেশবাদীরা বলছেন, অতীতে পাহাড়ধসে উখিয়ার রাজা পালং পূর্ব ডিগলিয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ অন্যান্য স্থানে বহু প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি অবৈধভাবে পাহাড় কাটতে গিয়ে পাহাড়ধসে অনেকে নিহতের ঘটনাও ঘটেছে। তারপরও থামছে না পাহাড় কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং হিন্দু ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ বিভিন্নদিকে মনচানুর নিজস্ব ৫/৬টি মিনি ট্রাক দিয়ে পাহাড় কেটে পাহাড় নিধন করছেন। পাহাড় কাটা এই মাটি গুলো প্রতি গাড়ি (১৪০০-১৫০০) টাকায় বিক্রি করছেন।

সম্প্রতি, কুতুপালং ও কাস্টমস এলাকায় যে স্থান গুলো মাটি দ্বারা ভরাট হচ্ছে সে গুলো মনচানু বড়ুয়ার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন করছেন। এছাড়াও ডাম্পার ও ট্রাক্টর বোঝাই করে বিভিন্ন দিকে মাটি বিক্রি করছে। শুধু তা নয় এই মাটি আবার ইটভাটা, কৃষি জমি ভরাট, ভূমিদস্যুদের অবৈধ জায়গা দখল ও পুকুর ভরাটসহ নানা কাজেও এ মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

সাংবাদিক আশিকুর রহমানসহ স্থানীয়রা জানান, বন বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা কিছু চিহ্নিত পাহাড় খেকো দ্বারা বালি উত্তোলন, পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি, জবর দখলসহ টাকার বিনিময়ে রাত-দিন পাহাড় কাটার জন্য সহযোগীতা করেন।

সুত্রে জানা গেছে, মনছানু বড়ুয়া পাহাড়ী মাটি বিক্রি করে বনে গেছে কোটি টাকার মালিক। তিনি করেছেন বিলাস বহুল বাড়ী। উচ্চ শিক্ষার জন্য সন্তানদের পাঠিয়েছেন দেশের বাহিরে।

এ বিষয়ে মনছানু বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি পাহাড় কাটার কথা শিকার করে জানান, পাহাড় কাটার দায়ে বন বিভাগ এই পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশের ৩টি মামলা দিয়েছে। এর পরে একটি মামলায় আদালতে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও দিয়েছি। আমার বাকী যে পাহাড়টি আছে সেটিও কেটে সমান করে ফেলব। এই বাকী পাহাড়টি কাটার জন্য যদি আমার ফাঁসিও হয় বাকী (অবশিষ্ট) পাহাড় কেটে ফেলব। তবে পাহাড় কেটে পুনরায় গাছের চারা রোপন করে দিব।

এ বিষয়ে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, তার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার দায়ে তিনটি মামলা হয়েছে জেলও কেটেছে। এখন মাটি কাটছে সেটা জানিনা। খোঁজ নিচ্ছি আবারও পাহাড় কেটে থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন বলেন, পাহাড় কাটা আইনত অপরাধ যদি পাহাড় কাটলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দ1

পাঠকের মতামত

টেকনাফে ঘুষ দিতে না পারায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হোটেলে যাওয়ার প্রস্তাব এএসআইয়ের

কক্সবাজার টেকনাফে ঘুষের টাকা না পেয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে আবাসিক হোটেলে রাতযাপনের প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ...

টেননাফে ৩৫ বছর পরে আরসিসি ঢালাই সড়ক পেলেন এক গ্রামের আড়াই হাজার মানুষ

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নতুন পল্লানপাড়ার জালালাবাদ গ্রামের আড়াই হাজার মানুষ ৩৫ ...