চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় বেসরকারি এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশের অফিসে ঢুকে এক কর্মীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদাবাজি চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে একটি বোমাসদৃশ বস্তু রেখে পালিয়ে যায় ওই দুর্বত্ত। বর্তমানে অফিসের চারপাশে পুলিশ, র্যাব ও যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দর্শনা পৌরসভাধীন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর অফিসে এ ঘটনা ঘটে। দর্শনা থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শহীদ তিতুমীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে। বোমা কিনা তারা এসে দেখবেন।
ব্যুরো বাংলাদেশ এনজিওর দর্শনা শাখার অ্যাকাউন্টস অফিসার ফেরদৌস বলেন, বুধবার দুপুরে আমি অফিসে কাজ করছিলাম। এ সময় এক হেলমেট পরিহিত যুবক অফিস কক্ষে এসে আমার পায়ের কাছে ইলেকট্রনিক্স বা টাইমবোমাসদৃশ একটি বস্তু রাখে। পরে কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে বলে অফিসে যা কিছু আছে সব কিছু তাকে দিয়ে দিতে। বাইরে আমাদের আরও সদস্য আছে, যদি চিল্লাচিল্লি করেন তাহলে গুলি করে দিব। আমি দৌড়ে বাইরে জানালার কাছে এসে চিৎকার চেঁচামেচি করলে সে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে চলে যায়। এর ৩-৪ মিনিট পর স্থানীয়রা আমার চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে এসে দরজা খুলে দেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সরকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ ডিভিশনের ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীর আলম, দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর ও র্যারের একটি দল।
এনজিও অফিসটি বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে।
এ বিষয়ে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার সময় দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শহীদ তিতুমীর বলেন, এনজিও কর্মীর ভাষ্য অনুযায়ী তিনি তার অফিসে কাজ করছিলেন। এ সময় তার মাথায় এক দুর্বৃত্ত পিস্তল ঠেকিয়ে যা কিছু আছে দিতে বলে। তিনি কৌশলে তাকে ধাক্কা দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন।
এ সময় তার কাছে একটি বোমাসদৃশ বস্ত রেখে পালিয়ে যায়। অফিসটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘিরে রেখেছেন। বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে জানানো হয়েছে। তারা এখন কুষ্টিয়া পর্যন্ত পৌঁছেছে। আমরা তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব