গেল ২ বছর ধরে শাকিব খানের শুটিং মানেই কোনও না কোনও ঝামেলা বেধেই আছে। এর আগে সিনিয়র শিল্পী ও কলাকুশলীদের হেয় করে বক্তব্য দেয়ার কারণে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এই নায়ককে নিষিদ্ধ করে। পরে অবশ্য সমঝোতার ভিত্তিতে আবারও কাজ শুরু করেন শাকিব।আবারও শাকিব খানের শুটিং ইউনিটে ঘটলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বৃহস্পতিবার এফডিসিতে শাকিবের শুটিং স্পটের বাইরে দুটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই নায়কের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিক জিয়া উদ্দিন আলম ও সুদীপ্ত সাইদ খান বিনোদন সাংবাদিকদের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শাকিবের বিরুদ্ধে পেশাগত কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনেছেন। তারা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির কাছেও লিখিত অভিযোগ দেবেন বলে জানান। সুদীপ্ত সাইদ অভিযোগ করে বলেন, সহকারী পরিচালক সমিতির (সিডাব) সঙ্গে শাকিব খানের ঝামেলা দীর্ঘদিনের। শাকিব খানের সঙ্গে সিডাব সদস্যদের যখন ঝগড়া চলছিল তখন জিয়াউদ্দিন আলম ও আমি পেশাগত দায়িত্ববোধ থেকেই ঘটনাটির ছবি, ভিডিও ধারণ করছিলাম। একসময় শাকিব খান জিয়া উদ্দিন আলম ভাইকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে তার দিকে তেড়ে যান। তাকে গালি দিয়ে মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় শাকিব খানের সঙ্গে আলম ভাইয়ের ধস্তাধস্তি হয়। শাকিব খান নিজেই ধস্তাধস্তি করে মোবাইল কেড়ে নেন। এ সময় জিয়া উদ্দিন আলম হাতে চোট পান। এরপর শাকিব খান মোবাইল নিয়ে চলে যান মেকআপরুমে। সেখানে আলম ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিলেট করা হয়।তিনি আরও বলেন, একই সময়ে পরিচালক শামীম আহমেদের সহকারীসহ পাঁচ-ছয়জন প্রোডাকশন বয় এসে আমাকে ঘিরে ফেলে মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় প্রযোজক লিটন হাশমী আমাকে জোর করে শাকিব খানের মেকআপরুমে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিব আমাকে ধমকান ও শামীম মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও নিজ হাতে ডিলিট করেন।বিষয়টি নিয়ে শাকিব খান গণমাধ্যমকে জানান, যারা শাহেন শাহ ছবির শুটিং সেটে ছিলেন, তাদের তিনি সংবাদকর্মী মনে করেন না, ছোট ভাই হিসেবে দেখেন। সাংবাদিক হিসেবে যদি দেখতেন, তাহলে তাদের শুটিং স্পটে ঢুকতেই দিতেন না।