[caption id="attachment_86966" align="alignleft" width="700"] ন ডরাই[/caption]
চট্টগ্রামের ভাষায় নির্মিত দেশের প্রথম ‘সার্ফিং’ বিষয়ক চলচ্চিত্র ‘ন ডরাই’ নিয়ে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না। এবার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং অনৈতিকতার অভিযোগ তুলে ‘ন ডরাই’ সিনেমার সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধ করার জন্য আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম। এই ছবির মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং হযরত আয়শা (রা.) কে অপমান করায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানানো হয়েছে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর ) ডাক ও রেজিস্ট্রিযোগে পাঠানো এই নোটিশে নোটিশ পাঠানো হয় তথ্য সচিব, আইন সচিব, সিনেমাটির প্রযোজক মাহবুব রহমান রুহেল, পরিচালক তানিম রহমান অংশু, সংলাপ রচয়িতা শ্যামল সেন গুপ্তকে।
তানিম রহমান অংশু পরিচালিত ছবিটির প্রযোজক স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান রুহেল। তিনি সাবেক মন্ত্রী ও চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ছেলে।
নোটিশে বলা হয়েছে, এই সিনেমার প্রধান চরিত্রের সঙ্গে হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর স্ত্রী হযরত আয়শা (রা)-এর মিল রাখা হয়েছে। হযরত আয়শা (রা.) ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে পবিত্র ও সম্মানিত ব্যাক্তি। তাকে নিয়ে কুরআনে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্বাসীদের মা।
সিনেমার মূল নায়িকার সঙ্গে হযরত আয়শার নাম ব্যবহার করে অশ্লীল দৃশ্যধারণ করা হয়েছে যা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাতের শামিল। শুধু তাই নয়, কমিক বই ও এনিমেটেড ভিডিও থেকে এই সিনেমাটি তৈরি করা খুবই আপত্তিকর। সস্তা বাজার পাওয়ার জন্য পরিচালক মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করেছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। চলচিত্র সেন্সরবোর্ড সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি দিয়ে আইন লঙ্গন করেছেন।
তবে নায়িকার নাম হযরত মুহাম্মদ (স.) এর স্ত্রী আয়শা (রা) নামে রাখা এবং অশ্লীল দৃশ্যের অভিযোগ সম্পর্কে অংশু বলেন, ‘ না এ ধরনের কোন কিছুই আমরা করিনি। আর আয়শা নামে এই প্রথম কোনও কাজ হচ্ছে তাও তো না। এর আগেও আয়শা নামে বহু কেন্দ্রীয় চরিত্রের কাজ হয়েছে। অনেক ধরনের গল্প দেখানো হয়েছে। এখানে আসলে আয়শা চরিত্রটায় এমন কিছু দেখানো হয়নি যেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। সার্ফিংয়ের দৃশ্যে মেয়েরা যেভাবে সার্ফিং করে সেভাবেই দেখিয়েছি, সালোয়ার কামিজ পরিহিত অবস্থায়। দৃষ্টিকটু কিছুই দেখাইনি। তাই এ ধরনের কথা ওঠায় পরিচালক হিসেবে আমি অনেক অবাক। আর নির্মাণের সময় থেকেই আমরা এসব ব্যাপারে খেয়াল রেখেছিলাম, যেন এগুলো নিয়ে দর্শকদের মধ্যে কোনও ধরণের অস্বস্তি যেন না হয়।’