![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/IMG_20220927_084855.jpg)
কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরের রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা নিহত মুহিবুল্লাহর মাসহ ১৪ স্বজন ক্যাম্প ছেড়েছেন। মুহিবুল্লাহর পরিবারের পর এবার তাঁর মা ও দুই ভাইয়ের স্ত্রী, ছেলেসন্তানসহ ১৪ স্বজনের কানাডা যাওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার সকালে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে তাঁরা ঢাকায় রওনা হয়েছেন। এর আগে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহ খুন হওয়ার পর নিরাপত্তা বিবেচনায় তাঁর পরিবারকে ১৩ অক্টোবর এবং পরদিন তাঁর সংগঠনের আরও ১০ নেতার পরিবারকে ক্যাম্প থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উচ্চ পর্যায়ের সরকারি এক কর্মকর্তা জানান, মুহিবুল্লাহর মাসহ তাঁর পরিবারের ১৪ সদস্য কানাডা যাওয়ার জন্য ক্যাম্প ছেড়েছেন। তাঁদের ঢাকা থেকে কানাডায় যাওয়ার কথা রয়েছে। ক্যাম্প থেকে যাত্রাকালে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়, জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধিসহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ৮-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের সংস্থার মাধ্যমে মুহিবুল্লাহর ১৪ স্বজনকে উখিয়া ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, বিষয়টি জানা নেই।
স্বজনরা হলেন মুহিবুল্লাহর মা উম্মা ফজল (৬০), ছোট ভাই হাবিবুল্লাহর স্ত্রী আসমা বিবি (৩৫), সন্তান কয়কবা (১৫), বয়সারা (১৩), হুনাইসা (৯), মো. আইমন (৮), ওরদা বিবি (৫), মো. আশরাফ (৫) ও আরেক ভাই আহম্মদ উল্লাহর স্ত্রী শামছুন নাহার (৩৭), সন্তান হামদাল্লাহ (১১), হান্নানা বিবি (৯), আফসার উদ্দীন (৭), সোহানা বিবি (৫) ও মেজবাহ উল্লাহ (১)।
এদিকে, গত ১৭ অক্টোবর মুহিবুল্লাহর স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের ১১ সদস্য কানাডায় যান। এঁদের মধ্যে মুহিবের স্ত্রী নাসিমা খাতুন, ৯ ছেলেমেয়ে ছাড়াও এক মেয়ের জামাইও ছিলেন। শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় কানাডার সরকারি কর্মসূচির আওতায় ‘শরণার্থী’ মর্যাদা দিয়ে তাঁদের সেখানে নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
![](https://www.ukhiyanews.com/wp-content/uploads/add1.gif)
পাঠকের মতামত