রাজধানীতে সমাবেশ করার পর ঘুরে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিভাগীয় শহরগুলোতে প্রকাশ্যে সমাবেশের পরিকল্পনাও করেছে দলটি। কিন্তু সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পায়নি জামায়াত। এরই মধ্যে আবার চট্টগ্রামে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে দলটির নেতারা।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, কারাগারে আটক আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান ও শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ আটক ওলামায়ে-কেরামের মুক্তি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ ১০ দফা দাবিতে ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর অফিস সেক্রেটারি এএইচএম কামাল স্বাক্ষরিত আবেদন পত্র জমা দিতে শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ে যান সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট শামসুল আলমের নেতৃত্বে ১৩ জন আইনজীবি প্রতিনিধি দল। আবেদনপত্রটি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখা গ্রহণ করে।
আবেদনে বলা হয়, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠাসহ ১০ দফা দাবিতে ২২ জুলাই বিকাল ২টায় চট্টগ্রাম নগরীতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সমাবেশ সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে অনুমতি প্রদানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
এডভোকেট শামশুল আলম বলেন, আমরা এই কর্মসূচি সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে চাই। ইতোমধ্যে তার নজির দেশবাসী দেখেছে। তাই আমরা আশাকরি প্রশাসন সমাবেশ সফল করার জন্য সার্বিভাবে সহযোগিতা করবেন। তাছাড়া প্রশাসন অনুমতি দিলে এই সমাবেশ উৎসবমুখর পরিবেশে পালন করার আশাবাদও তিনি ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট সৈয়দ এহতেশামুল হক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির সাবেক নির্বাচিত সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট কবির হোসাইন, এডভোকেট আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, এডভোকেট আফসারুর রশীদ, এডভোকেট জিয়াউল হক জিয়া, এডভোকেট ফজলুল বারী, এডভোকেট ফরিদুল আলম, এডভোকেট আরিফুর রহমান, এডভোকেট আবুল মোজাফফর, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির কার্যকরি কমিটির নির্বাচিত সদস্য এডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন, এডভোকেট আবদুল্লাহ আল গালিব, এডভোকেট মিনহাজ উদ্দিন, এডভোকেট মো. হারুন চৌধুরী
পাঠকের মতামত