গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের লড়াইয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এবার বিজয়ী হতে না পারলে আগামী ৫০ বছরের জন্য ‘কর্তৃত্ববাদী কবলে’ পড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আর প্রতিপক্ষদের মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে সরকার নির্বাচন নিয়ে ‘খেলা’ করতে চাইলেও এবার তা পারবে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের প্রতিনিধি সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র রক্ষা, ভোটের অধিকার রক্ষা- শুধু বিএনপির আন্দোলন নয়। এটা সমগ্র জাতির লড়াই। এই লড়াইয়ে জয়ী হতে হবে। এবার জয়ী হতে না পারলে বাংলাদেশ ৫০ বছরের জন্য কর্তৃত্ববাদী সরকারের কবলে পড়ে যাবে। কারো কোনো অধিকার থাকবে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে নির্বাচনের খেলা খেলতে চায় সরকার। তবে এবার সেই খেলা খেলতে পারবে না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটময় সময় চলছে। মানুষ তার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার যে সুযোগ সুবিধা তা থেকে বঞ্চিত হবে।
নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগ দেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতাকে এক পরিবারের অধীনে রাখতে সংবিধানকে কেটে তছনছ করেছে। নিজেদের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে পরিকল্পিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। অথচ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি ছিল আওয়ামী লীগের। সেই দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে।
ফখরুল বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে সংবিধানের সংশোধন করেছে ভয়াবহভাবে, আওয়ামী লীগ চাইলে সারাজীবন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। তারা নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করলেও বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ফায়দা নেয়ার জন্য বিরোধীদলের ওপর দায় চাপিয়েছে। দেশে কোনো সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেকে নিরাপদ মনে করে না।
সরকার বিএনপিকে নির্মূলে উঠেপড়ে লেগেছে বলেও মন্তব্য করেন ফখরুল আরও বলেন, সরকার ভারতের কাছে অপপ্রচার চালায় যে, এই দেশে হিন্দুবিরোধী সংগঠন বিএনপি। এই কথা কেউ বিশ্বাস করে না। বরং বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ নিরাপদে থাকে।
বিএনপি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর বলেও মন্তব্য করেন দলটির মহাসচিব।