সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘পরিষ্কারভাবে বলতে চাই এবার প্রধানমন্ত্রীর কথাও শুনব না। কারণ এইবার আমরা যারা এখানে এমপি আছি, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আছি, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশকে বাঁচাবার জন্য, নেত্রীকে বাঁচানোর জন্য, বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানোর জন্য মাথায় কাফনের কাপড় পরে মৃত্যুর সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাস্তায় নামব।’
রোববার জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তীর বিশেষ অধিবেশনে ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় শুক্রবার এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর যেখানে তার বাবার লাশ ছিল, মায়ের লাশ ছিল সেখানে নামাজ পড়তে চেয়েছিলেন। হাত জোর করে অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু জিয়াউর রহমান দেয় নাই। সব ঠেকা জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার? ডেকে ডেকে খাওয়াইতে হবে, খাইলে খাবি না খাইলে না খাবি, আসলে আসবি না আসলে না আসবি। ওই ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। এইটা আর ৭৫ সাল হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই চেয়ারে দাঁড়িয়ে আমি ম্যাডাম খালেদা জিয়ার ব্যাপারে দুইটা ছবি প্রদর্শন করেছিলাম। উনি আমাকে বলেছিলেন যে, আমি তোকে দেখে নেব। আমি ভেবেছিলাম অন্যভাবে দেখবেন, ক্ষমতায় আসলে জেল-জুলুম দেবেন। যা আমার কাছে নতুন কিছু না। কিন্তু তিনি জেল দেন নাই, বোমা হামলা করিয়েছিলেন। ১৬ জুন ২০০১। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বোম ব্লাস্ট হয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় মুখ দিয়ে ওই সময় শুধু একটাই কথা বের হয়েছিল নেত্রীকে বাঁচান।