ঢাকা: আলোচিত এসপি বাবুল আক্তারের জীবন নিয়ে শঙ্কিত তার স্বজনরা। তাদের আশঙ্কা, চাকরি থেকে সরে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করবে। তাকে জেলখানায় পাঠানো হলেও নিরাপদ থাকতে পারবে না। সেখানেও তাকে খুন করতে পারে। এমনটাই আশংকা করছেন তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, মিতু হত্যার ঘটনায় যদি বাবুল আক্তারকে চাকরি হারাতে হয়, তাহলে সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলবে। জেলখানায় গিয়েও সে বাঁচতে পারবে না। সেখানেও সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে ফেলবে। তার মৃত্যু অবধারিত। এখন কোনভাবে তার মৃত্যু হবে, সেটা আল্লাহই ভালো জানেন। আপাতত তার বাঁচার উপায় হচ্ছে তার চাকরিটা থাকা। এতে কিছুদিন যদি সে বেঁচে থাকতে পারে। আর সে নিজেও যদি চাকরি ছাড়ে তাহলেও তার জীবন বাঁচবে না।
বাবুল আক্তারের পদত্যাগ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, তিনি এসপি বাবুল আক্তারের পদত্যাগপত্র পেয়েছেন। রবিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাবুল আক্তার নিজেই পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কী নেওয়া যায়, সে ব্যাপারে শিগগিরই সিদ্ধান্ত হবে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মিতু হত্যার ঘটনা বাদ দিয়ে অন্য বিষয় নিয়ে মাতামাতি হচ্ছে। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার এ পর্যন্ত কোনো কথা বলেননি। গত ১৩ আগস্ট প্রথম মুখ খোলেন বাবুল আক্তার। তার ফেসবুকে মর্মস্পর্শী এক স্ট্যাটাসে তিনি অনেকটা আক্ষেপের সুরেই লিখেছেন, ‘যখন মা হারানো মেয়েটার অযথা গড়াগড়ি দিয়ে কান্নার শব্দ কেবল আমিই শুনি, তখন অনেকেই নতুন নতুন গল্প বানাতে ব্যস্ত। আমি তো বর্ম পড়ে নেই, কিন্তু কোলে আছে মা হারা দুই শিশু। আঘাত সইতেও পারি না, রুখতেও পারি না।’
গত এপ্রিলে এসপি হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর তাকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়। গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু শিশু সন্তানের সামনে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হন। স্ত্রী হত্যার ১৫ দিনের মাথায় গত ২৪ জুন মধ্যরাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুলকে মিন্টোরোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও পরদিন ২৫ জুন প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর আবার তাকে বনশ্রীতে শ্বশুরের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে পদত্যাগপত্র নেওয়া হয় বলেও সূত্র জানায়।
পাঠকের মতামত