কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা-মানবিক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)। এর অংশ হিসেবে ২০২২ সালের প্রথম ১০ মাসে দেশের অন্তত ৪ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা ও মানবিক সহায়তা দিয়েছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে স্থানীয় সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমএসএফ কর্মকর্তারা এসব কথা বলেন। সংস্থাটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভার শুরুতে ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে এমএসএফের কার্যক্রম তুলে ধরেন ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জসওয়া এখলি। ভিডিওচিত্রে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়, পরবর্তী সময়ে বন্যা-দুর্যোগ ও সর্বশেষ ছয় বছর ধরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা ও মানবিক সহায়তায় এমএসএফের ভূমিকা তুলে ধরা হয়।
জসওয়া এখলি বলেন, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে ১১ সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিশুদের চিকিৎসা, প্রসূতি চিকিৎসা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সেবাদান ও ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে আসছে এমএসএফ। এসব সেবা নিশ্চিত করতে এমএসএফের সঙ্গে যুক্ত আছেন ৬৫ বিদেশি নাগরিক ও ১ হাজার ৯৭৭ জন বাংলাদেশি। গত ১০ মাসে এমএসএফের পরিষেবা নিয়েছেন প্রায় ৪ লাখ মানুষ। এর মধ্যে জরুরি চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ৬২ হাজার ৭৪৩ জন ও বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন ২ লাখ ১৪ হাজার ৪৫২ জন।
মতবিনিময় সভায় সংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এমএসএফের যোগাযোগ ব্যবস্থাপক গাদা সাফানী, চিকিৎসা কর্মকর্তা ওয়াসিক আহমদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে শুরু হওয়া সেনা অভিযানের পরের পাঁচ মাসে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর আগ থেকে আছে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। এখন পুরোনো ও নতুন মিলিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।