সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আগামী ২৯ জুন আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদার বুধবার দুদকের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হওয়ায় ওই দিন ধার্য করেন।
জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে মামলায় ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে আদালত চার্জগঠন করে।
২০১৫ সালের ৭ মে দুদকের উপ পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে তিনি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। এরপর বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
দুদক ২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের দায়ের করা ওই মামলা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ আনা হয়। সেই সঙ্গে তার সম্পদ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা বেড়েছে। হলফনামার তথ্য অনুসারে তার বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা। তিনি এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে হলফনামা জমা দেন। সেখানে হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ওই সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
তার সম্পদের ব্যবধানের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে দুদক তার ব্যাপারে অনুসন্ধান করার পর মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দুদক অনুসন্ধান শেষে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।