সরকার দলীয় এমপি আবদুর রহমান বদির অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের পক্ষে আদালকে যুক্তি উপস্থাপিত হয়েছে।
বুধবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে দুদকের পক্ষে এই শুনানি করেন দুদকের স্পেশাল পিপি মো. কবির হোসেইন। তিনি যুক্তিতর্কে দুদকের পক্ষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছেন উল্লেখ করে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। এরপর ওই আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার আগামী ১৮ আগস্ট আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।
শুনানি গ্রহণকালে আসামি বদি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলাটিতে ২০১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর বদির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত।
২০১৪ সালের ২১ আগস্ট এমপি বদির বিরুদ্ধে দুদকের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের দায়ের করা ওই মামলা নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার বাইরে ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়। সম্পদ ৩৫১ গুণ বৃদ্ধি পাওয়া। পাঁচ বছরে তার আয় ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। হলফনামা অনুসারে তার বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামায় তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। ওই সময় বিভিন্ন ব্যাংকে তার মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা।
২০১৫ সালের ৭ মে দুদকের উপ-পরিচালক মঞ্জিল মোর্শেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে তিনি ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী সময়ে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।
সৌজন্যে: ঢাকাটাইমস
পাঠকের মতামত