প্রকাশিত: ৩০/০৯/২০১৬ ৭:৪৬ এএম

mokol-pic-29-09-2016উখিয়া নিউজ ডটকম::

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তরের আওতাধীন ১০টি ব্রীজ নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্ধে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ জনপদে বাস্তবায়িত এসব ব্রীজ গুলো উখিয়ার অবহেলিত গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবী করেছেন উপকারভোগী এলাকার জনসাধারণ।
জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, কক্সবাজার-০৪ আসনের সাংসদ আবদুর রহমান বদির নির্বাচনী অঙ্গীকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ভুক্তভোগী গ্রামবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে গ্রামীণ জনপদের অজপাড়া গাঁয়ে ব্রীজগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ব্রীজ নির্মাণ কালে স্থানীয় গ্রামবাসীর অফুরন্ত সহযোগীতা থাকায় নির্ধারিত সময়সীমার আগেই ব্রীজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে জনচলাচলের জন্য ব্রীজগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে ৪০ ফুট দীর্ঘ খয়রাতি পাড়া, মালিয়ারকুল সাইক্লোন সেল্টার সংলগ্ন দূছরী খালের উপর, সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে ৪০ ফুট দীর্ঘ দক্ষিণ বড়বলি তচ্ছাখালী খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে ৪০ ফুট দীর্ঘ তেলখোলা মাস্টারের বাড়ির পাশে খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্ধে ৪০ ফুট দীর্ঘ উত্তর গয়ালমারা জাম্বুনিয়া চড়ার উপর ব্রীজ নির্মাণ, ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয় বরাদ্ধে ৩৪ ফুট দীর্ঘ তুতুরবিল মশরফ আলী ঘোনা সংযোগ সড়কে চড়ার উপর ব্রীজ নির্মাণ, ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে তেলখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, সাড়ে ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ পাইন্যাশিয়া তুতুরবিল সংযোগ সড়কে খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৪ ফুট দীর্ঘ দক্ষিণ জুম্মা পাড়া শিশু নিকেতন স্কুল সংলগ্ন চড়ার ব্রীজ নিমার্ণ, ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০ ফুট দীর্ঘ নুরুল আলমের বাড়ী সংলগ্ন চড়ার উপর ব্রীজ নিমার্ণ ও ২৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৩ ফুট দীর্ঘ হলদিয়া দক্ষিণ বড়বিল কোনারপাড়া চড়ার উপর একটি ব্রীজ সহ ১০ টি ব্রীজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
সরেজমিন উত্তর গয়ালমারা জামবনিয়া ছড়ার উপর নির্মিত ব্রীজ ঘুরে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই সব এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ছড়ার উপর তৈরি করা নড়বড়ে বাঁশের সাকু দিয়ে চলাচল করেছে। গ্রামবাসী আরো জানায়, রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই ব্রীজটি নির্মাণের ফলে এলাকার প্রায় ৫ হাজার মানুষ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাগামী ছাত্র/ছাত্রী যানবাহনে যাতায়াত করতে সক্ষম হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মীর আহমদ জানান, ব্রীজটি জনগণের অনেক উপকারে এসেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জুবায়ের আহমদ জানান, গুনগতমান সম্পন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি করা টেকসই ব্রীজ উপহার দিতে পেরে তারাও মানসিক ভাবে আত্মতৃপ্ত হয়েছে। যেহেতু এসব ব্রীজ নির্মাণ কাজে কোন প্রকার অনিয়ম, দুর্নীতির আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হয় নাই।

পাঠকের মতামত

মাইক নিয়ে যে নির্দেশনা দিল ড. মিজানুর রহমান আজহারী

তাফসির মাহফিলের মাইকগুলো যথাসম্ভব প্যান্ডেলের ভেতরেই রাখুন। আগ্রহী শ্রোতারা সেখানে বসেই তাফসির শুনবেন। শ্রোতাদের সুবিধার্থে ...

ঐক্যবদ্ধ থেকে দুর্বৃত্তদের কালো হাত ভেঙে দিতে ১ ঘণ্টাও লাগবে না :মিজানুর রহমান আজহারী

জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন, আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, আমরা মুসলিম, ...

সভাপতি মোঃ হোবাইব -সাধারণ সম্পাদক ফোরকান-সাংগঠনিক কামাল মহেশখালীতে লবণ চাষি ও ব্যবসায়ী সংগ্রাম পরিষদ গঠিত

লবণ উৎপাদন বৃদ্ধি ও আমদানী নয়, নায্যামূল্যাসহ রপ্তানির লক্ষে গঠিত হয়েছে কক্সবাজারের মহেশখালীতে লবণ চাষি ...