ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২০/১১/২০২৩ ৯:৩৮ এএম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানরা পদত্যাগ করছেন। তবে পদত্যাগপত্রে সবাই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৯ জন উপজেলা চেয়ারম্যান পদত্যাগ করেছেন বলে স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী তারা স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পদত্যাগপত্র দাখিল করবেন। আবেদনপত্র গৃহীত হলে তাদের নাম উল্লেখ পূর্বক ওই উপজেলা চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করবে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা-১ অধিশাখার যুগ্মসচিব মাসুম পাটোয়ারী যুগান্তরকে বলেন, এ পর্যন্ত আটজন উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। পদত্যাগপত্রগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদানের জন্য নোট দিয়ে সচিবের বরাবর পাঠানো হয়েছে। সিদ্ধান্তের আলোকে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অর্থাৎ চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হবে। তিনি আরও জানান, একবার পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে, এ বিষয়ে আর কোনো আবেদন-নিবেদন করার সুযোগ থাকবে না। তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে আরও অনেকে পদত্যাগ করতে পারেন। অথবা তারা পদত্যাগ করে ইউএনও কিংবা ডিসির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি।

ইতোমধ্যে ঢাকার ধামরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোহাদ্দেছ হোসেন, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের সিতাকুন্ডু উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শফিকুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আনছারী, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম এবং সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ পদত্যাগ করেছেন। এছাড়া টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইফনুছুল ইসলাম ঠান্ডু পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর অধিশাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পৌরসভার মেয়র পদত্যাগ করেননি। একই বিভাগের সিটি করপোরেশন শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত কোনো সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরের কাছ থেকে পদত্যাগপত্র পাওয়া যায়নি। তবে যে কোনো সময় পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদ শূন্য হওয়ার পর ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করার নিয়ম রয়েছে। তবে নির্বাচন করতে বিলম্ব হলে চেয়ারম্যান পদে প্রশাসক নিয়োগের বিধানও রয়েছে। উপজেলা পরিষদ আইন-২০০৮ অনুসারে কোনো চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতি বা পদত্যাগ করলে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন চেয়ারম্যানের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে। ৯০ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে সরকার চাইলে ওই উপজেলায় প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণের পক্ষে নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব

রোহিঙ্গাদের আত্তীকরণ বাংলাদেশের জন্য বিবেচনাযোগ্য বিকল্প নয় বলে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ঢাকা প্রধান ল্যান্স ...

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে ঢুকতে বিধিনিষেধ

ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতালে প্রবেশে বিধিনিষেধসহ ১০টি নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি ...