স্টাফ রিপোর্টার ॥ এমবিবিএস ও বিডিসি ভর্তি পরীক্ষায় কয়েকটি বিষয়ে পরিবর্তন এনেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় পূর্ববর্তী বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কর্তন এবং পূর্ববর্তী বছরে সরকারি কলেজে ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কোটা পূর্বের ন্যায় ৫০ শতাংশই বহাল থাকবে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে বিডিএস-এর কোর্স পাঁচ বছর মেয়াদী হবে।
রবিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আসন্ন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে ভর্তি সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লা, বিএমএ মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক দুলাল, কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মাকসুদ, প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাসে গত শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা মাইলফলক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাকে বিতর্কিত করার জন্য অতীতে গুজব ছড়ানো হতো।
কিন্তু গত বছর জোরালো নজরদারি ও সর্বোচ্চ নিখুঁত প্রক্রিয়া অনুসরণ করায় কোনো বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ কেউ পায়নি। আগামীতেও এই মানকে অক্ষুন্ন রাখতে এখন থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই পদক্ষেপ এখন অন্যান্য পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ কমিটি অনুসরণ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার মান সুষ্ঠু করার পাশাপাশি বেসরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতে সরকারের কঠোর মনোভাব ও পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে এবং এ ক্ষেত্রে সহায়তা করার জন্য দেশের সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
বেসরকারি কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নে নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে একাজে ওভার সাইট কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সুশীল ব্যক্তিত্বদের সম্পৃক্ত করার জন্যেও তিনি পরামর্শ দেন।
মেডিকেল কলেজে শিক্ষক সংকট দূর করতে চিকিৎসকদের পদোন্নতি প্রক্রিয়া নিয়মিতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি এক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের এসময় নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী।
সভায় জানানো হয় মানিকগঞ্জ সরকারি মেডিকেল কলেজকে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ হিসাবে নতুন নামকরণের প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।
পাঠকের মতামত