বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় এ বছর যে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তার অর্ধেকও জোগাড় হয়নি।
বিষয়টি জানিয়ে রোহিঙ্গাদের ভুলে না যেতে আন্তর্জাতিক দাতা সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। খবর রয়টার্সের
রোহিঙ্গা শরণার্থীর ঢল নামার পঞ্চম বার্ষিকী সামনে রেখে মঙ্গলবার এক বিবৃতি দেয় ইউএনএইচসিআর
সেখানে সংস্থটি বলে, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী অত্যন্ত জনাকীর্ণ অবস্থায় বসবাস করছে। তারা বেঁচে থাকার জন্য পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এসব শরণার্থীদের সহায়তা তহবিলে ‘অনেক ঘাটতি’ রয়েছে।
জাতিসংঘের এ সংস্থা বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় সম্প্রদায়ের পাঁচ লাখসহ ১৪ লাখের বেশি মানুষের সহায়তায় ২০২২ সালের জন্য ৮৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৪২ কোটি ৬২ লাখ ডলার, অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪৯ শতাংশ জোগাড় হয়েছে।
সহায়তার অভাবে সঠিক পুষ্টি, আশ্রয়ের উপকরণ, স্যানিটেশন সুবিধা এবং জীবিকার সুযোগ করে দেওয়া যাচ্ছে না রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের। মৌলিক সব চাহিদা পূরণে প্রয়োজনের তুলনায় তহবিল খুবই কম।
সংস্থাটির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কাছে রোহিঙ্গারা বলেছেন, তারা মিয়ানমারে ফিরতে পারছেন না, বাংলাদেশেও কাজের সুযোগ নেই। তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। এ অবস্থায় বিশ্ব সম্প্রদায় যেন রোহিঙ্গাদের দুর্দশার কথা ভুলে না যায়।
জীবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আগে নাগরিকত্বের স্বীকৃতি চান রোহিঙ্গারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের মুখে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বেশিরভাগ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ বলেছে, গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে ওই নির্যাতন চালানো হয়েছিল।
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে।