ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক ও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বলেছেন, এই নির্দেশনা কতটা কার্যকর হচ্ছে, তাও পর্যবেক্ষণ করছেন তাঁরা।
বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটিকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেন কমিটি সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, আ. স. ম ফিরোজ, হাফিজ আহমদ মজুমদার, ফেরদৌসী ইসলাম এবং মোকাব্বির খান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশিকুর রহমান বলেন, শীতকালে দেশে ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়। ধর্মীয় প্রচারের জন্য এসব ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কথা থাকলেও ইদানীং দেখা যাচ্ছে, এতে বক্তারা ধর্মীয় প্রচারের চেয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য বেশি দেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সমালোচনা করা হয়। এটি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে বলেছিল কমিটি। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
বৈঠক সূত্র জানায়, কমিটির আগের বৈঠকে এ সংক্রান্ত সুপারিশ আসে। বুধবারের বৈঠকে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেওয়া হয়। বৈঠকের কার্যপত্রে জানা গেছে, আগের বৈঠকে দুর্গাপূজাসহ ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এক পর্যায়ে কমিটির সভাপতি আশিকুর রহমান ওয়াজ মাহফিলে বিতর্কিত আলোচনা হওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। এ সময় কমিটির সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় বিদ্বেষ বা উস্কানিমূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ২০২০ সালে ওয়াজ মাহফিলে লাউড স্পিকার বন্ধের সুপারিশ করেছিল। ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াজ মাহফিলে বক্তাদের সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ও জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকাকে নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানো, নারীদের পর্দা নিয়ে কটূক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়টি সুপারিশ করা হয়। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তা পাঠানো হয়।
পাঠকের মতামত