উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
বৈরী আবহাওয়া এবং সমুদ্র সৈকতে জোয়ার-ভাটার হিসাব না করে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে গোসল করতে নেমে স্রোতে ভেসে গিয়ে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
সর্বশেষ শনিবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এবং নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে এক কিশোরী ও এক নিখোঁজ শিশু সহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।গত পাঁচ দিনে স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় অন্তত ৪৫ জনকে উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচানো হয়েছে।এছাড়া গত ১১ বছরে কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ৭২ জনের মৃত্যূ হয়েছে।
এদিকে শনিবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট এবং নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে এক কিশোরী ও এক নিখোঁজ শিশু সহ দুই জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা যায়,কক্সবাজার সৈকতের কলাতলী পয়েন্টে শনিবার সকাল ১০টায় আনুমানিক ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীর লাশ ভেসে আসে।এসময় সৈকত পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বে থাকা নারী কর্মীরা লাশ দেখে সি সেইফ লাইফ গার্ডকে খবর দিলে ট্যুরিস্ট পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।তার পরনে ছিল টিয়া রঙের প্যান্ট ও খয়েরি রঙের বোরকা। তবে এ পর্যন্ত তার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া শিশু মোহাম্মদ শিহাদের (১২) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১টার দিকে সমুদ্র সৈকতের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসলে শিশুরটির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
শিহাদ শহরের বৈদ্যঘোনা এলাকার ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফিকের ছেলে। শিহাদ শহরের বদরমোকাম মসজিদ-সংলগ্ন এমদাদিয়া মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
নিখোঁজ শিহাদের মামা মোহাম্মদ সেলিম বলেন,শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে শিহাদ তার পাঁচজন বন্ধুর সঙ্গে সৈকতে ফুটবল খেলতে যায়। সমুদ্রে তখন ভাটা চলছিল। এ সময় বল আনতে গিয়ে শিহাদ স্রোতে ভেসে যায়। এখনো তার সন্ধান মেলেনি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন,শিশু নিহাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপর কিশোরীর লাশ ময়না তদন্তের জন্যকক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে তার পরিচয় মেলেনি।
পাঠকের মতামত