কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের এক কর্মকর্তাকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানায়, রাশেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়ম বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দুদক প্রধান কার্যালয় কক্সবাজারের উপপরিচালককে চিঠি দেয়। কমিশনের পক্ষে অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগের উপপরিচালক খান মো. মিজানুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ চিঠি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে পাঠানো হয়। এর পর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পালকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের নির্দেশে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন।’
দুদক সূত্রে জানা যায়, রাশেদের বিরুদ্ধে ১২ উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ এবং নানা দুর্নীতি-অনিয়ম বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।
তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, ‘এর আগে আমার বিরুদ্ধে দুদক কার্যালয়ে তিন শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল; তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। মূলত আমার নির্বাচনী প্রতিপক্ষরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।
রাশেদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক জানিয়েছে, এর আগে তাঁর বিরুদ্ধে দুদক কোনো অনুসন্ধান করেনি; এটাই প্রথম। তবে আদালতের নির্দেশে একটি মামলার তদন্ত করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রাশেদ কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে ২০১৬ সালে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এখনও দায়িত্বে আছেন। এখন নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রচারণা চালাচ্ছেন। সুত্র: সমকাল
পাঠকের মতামত