করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন সাধারণ ছুটি বলবৎ থাকার পর ৩১ জুন থেকে সীমিত পরিসরে সারাদেশে গণ পরিবহন, ট্রেন, লঞ্চ চালু হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিসের কার্যক্রমও সীমিত পরিসরে চলবে। পাশাপাশি বাণিজ্যিক কেন্দ্রগুলোও খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে সাধারণ ছুটি প্রত্যাহার হলেও খুলছে না কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো।
সমুদ্র সৈকতেও পর্যটকসহ সাধারণ জনগণের প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকছে। কক্সবাজার শহরের প্রায় ৫ শত আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউজগুলো খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সীমিত পরিসরে গণ পরিবহণ চলবে। তবে কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ থাকবে।
এদিকে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, দীর্ঘদিন লকডাউনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক হোটেল-মোটেলগুলো সীমিত পরিসরে খুলে দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, লকডাউনের কারণে পর্যটন শহরের প্রায় ৫শ’ ছোট বড় আবাসিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজের প্রায় অর্ধলক্ষ কর্মচারী তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাছাড়া মালিক পক্ষও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। অন্তত দরিদ্র পরিবারগুলোর জীবন জীবিকার স্বার্থে এসব হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ খুলে দেয়া হউক।
পাঠকের মতামত