দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার- ৩,৪ আসনে অনিয়মের অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্রের তিন প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরের পর তারা পর্যায়ক্রমে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভোট বর্জন করা তিন প্রার্থী হলেন কক্সবাজার-৪ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল বশর ও লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো। কক্সবাজার-৩ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মিজান সাঈদ।
বিকাল ৩টার দিকে ভোটি বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নুরুল বশর বলেন, ‘কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি, জাল ভোট, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও নজিরবিহীন অনিয়ম, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষপাত করে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই আমি এই ভোট বর্জন করলাম।’
এর আগে একই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী নুরুল আমিন সিকদার ভূট্টো ভোট বর্জন করে বলেন, ‘সকাল থেকে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে যেসব কেন্দ্রে আমার ভোটার সংখ্যা বেশি সেখান থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানানো পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে ব্যাপক অনিয়ম, জাল ভোট প্রদান, কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তাই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
কক্সবাজার-৪ এর সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির হোসেন জানান, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে কেউ লিখিত বা মৌখিকভাবে বিষয়টি জানাননি। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী, ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে কক্সবাজার-৩ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাইকোর্টের আওয়ামী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ বলেন, ‘কক্সবাজার-৩ আসনে ১৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর নেতৃত্বে ১৩০টি কেন্দ্র দখল করে ব্যালেট পেপারে জোরপূর্বক সিল মারা হচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়। আবেদনে ভোট স্থগিত করে পুণঃনির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। এই সঙ্গে ভোট বর্জন করলাম।’
কক্সবাজারের জেলা রিটার্নি কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ‘কক্সবাজার-৪ আসনে এ পর্যন্ত কেউ লিখিত ও মৌখিকভাবে জানায়নি। কক্সবাজার-৩ ঈগল প্রতীকের পক্ষে লিখিত একটি আবেদন কিছুক্ষণ আগে পাওয়া গেছে। ব্যস্ততার কারণে এখনও আবেদনটি পড়েননি। প্রার্থী বর্জন করেছেন কি না জানা নেই।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানান, উখিয়া বা টেকনাফসহ জেলার কোথাও কেন্দ্র দখলের তথ্য পাওয়া যায়নি।