ফিফার অর্থায়নে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য কক্সবাজারে যে জায়গা নির্ধারণ করেছিল সেই জায়গা পাচ্ছে না বাফুফে । ২০২২ সালের জুলাইয়ে জেলার রামু উপজেলার খুনিয়াপালং মৌজায় ২০ একর জায়গা বাফুফের অনুকুলে হস্তান্তর করেছিল কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ।
তার আগে একই বছর ৪ জুন ওই মৌজার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশে ডি-রিজার্ভ করা ২০ একর জমি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে রোববার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কক্সবাজারেই বিকল্প জায়গায় টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের কথা বলেছে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানিয়েছে, টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য যে জায়গা ধার্য আছে তা রংক্ষিত বনাঞ্চল মর্মে বিভিন্ন অংশীজন থেকে অবহিত করা হয়েছে।
তাই উক্ত স্থানের পরিবর্তে একই উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া মৌজায় দীর্ঘদিন ধরে পরত্যিক্ত ১৯.১ একর জমিতে এই টেকনিক্যাল সেন্টার তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে। বিকল্প স্থানে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পর তা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
ফিফার অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো টেকনিক্যাল সেন্টার তৈরি হবে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সব কিছু থাকবে এ টেকনিক্যাল সেন্টারে। একটি ঘাসের মাঠ এবং একটি আর্টিফিসিয়াল টার্ফ থাকবে সেখানে।
বিকেএসপির মতো এখানে ফুটবলারদের জন্য একাডেমিক ভবন থাকবে। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে সবধরনের সুযোগ সুবিধা রাখা হবে এ সেন্টারে। বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি জমি দেখার পর দেশের পর্যটন খাতের কথা চিন্তা করে ফিফার টেকনিক্যাল সেন্টারটি কক্সবাজারে তৈরির পরিকল্পনা করেছে বাফুফে