মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের অভিযানে ইয়াবাসহ পাভেল নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করা হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ঝাউতলা রেনেসা হোটেলে সামনে পরিদর্শক জীবন বড়ুয়ার নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ডিএনসি সুত্রে জানা যায়, ইয়াবা লেনদেনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝাউতলা রেনেসা হোটেলে সামনে আগে থেকে উৎপেতে থাকে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজারের চৌকস একটি টিম। রাত ৯টার দিকে ইয়াবা লেনদেন করা জন্য ওই স্থানে পশ্চিম টেকপাড়ার মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র জসিম উদ্দিন পাভেল আসে। এসময় তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে আটক করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ৫ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গত ৩০ আগষ্ট সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করে তাঁকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় বলে জানান সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম উদ্দিন। যার মামলা নং-৭৬।
জানা যায়, আটক জসিম উদ্দিন পাভেল কক্সবাজারের শীর্ষ মাদক ডন খোরশেদ আলম বাপ্পীর বড় ভাই। পুরো দুই যুগ ধরে বাপ্পী সুকৌশলে মাদক ব্যবসারা সাথে জড়িত। দেশজুড়ে রয়েছে তাঁর বিশাল সিন্ডিকেট। মিয়ানমারেও তাঁর সিন্ডিকেটের সদস্য রয়েছে। বিভিন্ন সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয় বাপ্পী ওরফে পাপ্পু। কিন্তু আইনের ফাক ফোকর দিয়ে জামিনে বের হয় সে। মাদক ব্যবসায় বাপ্পী গড়ে তুলে সম্পদের অঢেল পাহাড়। শহরের টেকপাড়া, খুরুশকুল, কলাতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁর রয়েছে একাধিক জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট। রয়েছে অসংখ্য সিএনজি ও নোহা। নামে-বেনামে আছে একাধিক ব্যাংক একাউন্ট। দৃশ্যমান কোন আয় না থাকা সত্বেও বাপ্পীর সম্পদের পাহাড় দেখে খোদ হতবাক এলাকাবাসী।
সারাদেশে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হলে কৌশলে পা ফেলে বাপ্পী। নিজেকে সাধু বানাতে মাদক ব্যবসা করেন না বলে নানা নাটকীয়তা শুরু করে। তাঁর বড় ভাই পাভেল ও সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে বর্তমানে সুক্ষ্মভাবে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সে। বাপ্পীকে আইনের আওতায় আনলে অনেক রাঘব বোয়াল বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা সচেতন মহলের। তাই তাকে গ্রেফতার করে তাঁর কালো টাকা ও অবৈধ সম্পত্তি জব্দ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দুদক এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুশীল মহল।
তবে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাপ্পি। তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল এসব ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে।
এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করছে পুলিশ। কোন অপরাধী অপরাধ করে ছাড় পাবে না। তাঁর বিরুদ্ধে খোঁজ খবর নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।