প্রকাশিত: ২৯/০৮/২০১৭ ৭:১২ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ২:২৬ পিএম

নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজার শহর ছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন বাজারে গড়ে উঠেছে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ গ্যাসের দোকান। ঝুঁকিপুর্ণভাবে এ সব দোকানাদারেরা ব্যবসা করে গেলেও প্রশাসনের কোন তৎপরতা নেই। তাই যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন বিভিন্ন পেশার লোকজন।
গ্যাসের ব্যবসাই এখন উত্তম ব্যবসা। কক্সবাজার শহর ছাড়াও গ্রামেও গড়ে উঠেছে গ্যাস বিক্রির দোকান। সংশ্øিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতিপত্র ছাড়াই নামে মাত্র একটি ট্রেড লাইন্সেস নিয়ে দেদারসে গ্যাসের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। গ্যাস বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমত সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে একের রকম দামে গ্যাস বিক্রি করে যাচ্ছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় বিভিন্ন উপজেলায় নিজের বসতবাড়িতেও চলছে গ্যাসের ব্যবসা। অবৈধ ভ্রাম্যমান গ্যাসের দোকানগুলোতে নিয়োজিত কর্মচারীদের গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার সর্ম্পকে সঠিক ধারণা না থাকায় দুর্ঘটনার মাত্রাও দিন দিন বেড়ে চলছে। কক্সবাজার শহরেও অন্তত শতাধিক গ্যাস বিক্রির দোকান রয়েছে। শহরের দোকানগুলোর অধিকাংশের লাইসেন্স থাকলেও গ্রামের গ্যাসের দোকানগুলোর অধিকাংশের লাইসেন্স নেই।
মহেশখালীর বড়মহেশখালীর রমিজ আহমদ জানিয়েছেন মহেশখালীতে ইতোমধ্যে অন্তত দেড় শতাধীক গ্যাসের দোকান গড়ে উঠেছে। এতে লাইসেন্স আছে মাত্র ২ জনের। বিভিন্ন নাম করণ করে এ সব গ্যাসের দোকানগুলো পরিচালনা করছে। সিএনজি টেক্সিগুলোতে গ্যাস ব্যবহার করায় গ্যাসের চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। যাকে পুঁিজি করে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গ্যাসের দোকান। বড়মহেশখালীতে মাহিয়ান অয়েল সার্ভিস, হাজী বেলালের নামে চলছে একাধীক গ্যাসের দোকান।
চকরিয়া বদরখালী বাজারের ব্যবসায়ি নুরুল আমিন জানিয়েছেন, শুধুমাত্র বদরখালীতেই আছে অন্তত ৩০/৪০ টি দোকান। যার অধিকাংশ দোকানে সিএনজি টেক্সিতে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ করে। কিন্তু কোন দোকানেরই লাইসেন্স নাই। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই খোলা হয়েছে দোকানগুলো। যার ফলে তারা সিলিন্ডারের নিরাপত্তার জন্য কিছুই করেনি। তাই যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কুতুবদিয়া আলী আকবর ডেইলের মিজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন, কুতুবদিয়ায় চড়া দামে বিক্রি হয় গ্যাস। ইচ্ছে হলেই গ্যাসের ব্যবসা করা যায়। প্রতিটি ইউনিয়নেই ৪/৫টি করে গ্যাসের দোকান রয়েছে।
উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং এর আবুল হোসেন জানান, হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় গ্যাস। যে কেউ খুলে বসেছে গ্যাসের দোকান। গ্রামের প্রতিটি দোকানেই গ্যাসের সিলিন্ডার পাওয়া যায়।
গ্যাস সিলিন্ডারে ঠিক কতটুকু গ্যাস আছে এবং ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডারগুলো নির্ণয় করার জন্য বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
জানা গেছে, সরকারিভাবে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তেল কোম্পানি ছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে ১৮/২০টি কোম্পানির এলপি গ্যাস বাজারজাত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কক্সবাজার রিপোর্ট :

পাঠকের মতামত