শুটিংয়ের জন্য কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফ্লাইটে চড়তে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে ফিরলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক আহমেদ এবং কচি খন্দকার। যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে নভোএয়ারের সেই বিমানটি নানা নাটকীয় কাণ্ডের পর কক্সবাজার না গিয়েই ফিরে আসে ঢাকায়।
শ্বাসরুদ্ধকর সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রায় সব নাটকে অভিনয় করা অভিনেতা ফারুক আহমেদ।
মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরা।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) নভোএয়ারে কক্সবাজার যাত্রার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অভিনেতা ফারুক বলেন, ‘সকাল ৮টার ফ্লাইট। নভোএয়ারে যাচ্ছি কক্সবাজার শুটিংয়ে। আমি আর কচি খন্দকার। কচি ভাইয়ের স্ক্রিপ্ট। পরিচালনায় সাগর জাহান। প্রায় নির্দিষ্ট সময়ে উড়োজাহাজ উড়াল দিলো। আমরা দুজন খুশি এই ভেবে যে সঠিক সময়ে কক্সবাজার পৌঁছানো যাবে। ২৫ মিনিট ওড়ার পর হঠাৎ ক্যাপ্টেনের গম্ভীর গলায় ঘোষণা— ‘যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিমানটি কক্সবাজার যেতে পারছে না। আমরা পুনরায় ঢাকায় ল্যান্ড করবো। সিট বেল্ট বেঁধে আপনারা নিজ নিজ আসনে বসুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোক।’
ফারুক বলেন, ‘ক্যাপ্টেনের এই ঘোষণার পর আমি আর কচি ভাই পাথরের মূর্তি হয়ে সিটে বসে রইলাম। উড়োজাহাজটি তখন নানারকম উদ্ভট শব্দ করে আকাশে উড়ছে। কোন্ দিকে যাচ্ছে বুঝতে পারছি না। মনের ভিতর তীব্র ভীতি কাজ করছে। প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছে— এই বুঝি জীবনের সব আয়োজন, সব খেলা শেষ হয়ে যাবে।’
Din Mohammed Convention Hall
তিনি বলেন, ‘প্রায় ৩০ মিনিট পর পাইলটের দক্ষতায় উড়োজাহাজটি পুনরায় ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করলো। মনে হলো আমি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি। এক অজানা আনন্দ অনুভূতি আমার শরীরে শিহরণ জাগিয়ে তুললো। মাত্র কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া যে ঘটনা তা আমার কাছে স্বপ্ন মনে হলো।’
জরুরি এই বিমান ল্যান্ডিংয়ের ৩০ মিনিট পর নভোএয়ারের আর একটি বিমানে করে ঢাকা থেকে তারা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ওইদিন সকাল ১০টা ৮ মিনিটে তারা কক্সবাজার পৌঁছান।
বর্তমানে ফারুক আহমেদসহ ওই নাটকের অন্য অভিনয়শিল্পীরা কক্সবাজারে শুটিং করছে। সেই শুটিং চলবে টানা ৩ দিন— আগামী বুধবার পর্যন্ত।