প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও নদীর উপর বাঁশঘাটা পয়েন্টে কাঠের তৈরী সাঁকোটি দ্বিতীয়বারের মত ঢলের পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে বাঁশঘাটা পয়েন্ট দিয়ে ইসলামাবাদের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। গতকাল ১০ জুন শুক্রবার সকাল ১০ টা’র দিকে ভারী বর্ষণ চলাকালীন স্রোতের চাপ বেড়ে গেলে সাঁকোটি ভেসে যায়। বিগত বন্যার সময় ওই পয়েন্টের ফুট ওভার ব্রীজটি ভেঙ্গে গেলে এলাকাবাসী নিজস্ব উদ্যোগে সাঁকোটি তৈরী করে। অপরদিকে ঈদগাঁও বাজারের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছে। বাস ষ্টেশন থেকে বঙ্খিম বাজার পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ শুরু হলেও পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় যানবাহন এবং পথচারীদের চলাচলে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৭, ৮, এবং ৯ ওয়ার্ডের প্রায় হাজার খানেক লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলীতেও বেড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়াতে এবং জোয়ারের পানির তোড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সেখানে সরকারীভাবে কোন ত্রাণ তৎপরতা চালু হয়নি বলে জানিয়েছেন চৌফলদন্ডী ও পোকখালীর ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে মোঃ আলম ও মৌলভী ফরিদুল আলম এবং চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে জালালাবাদ ইউনিয়নের মাছুয়াপাড়া ও সওদাগর পাড়া। মাছুয়াপাড়ার অধিবাসী বাবুল কান্তি দাশ জানান, রান্নাঘরে পানি উঠার কারণে উনুনে আগুন জ্বালতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থরা সরকারের নিকট শ্রীঘ্রই ত্রাণ তৎপরতা শুরুর আহবান জানান।