ককসবাজারের ঈদগাঁও-চকরিয়া মহাসড়কের হারবাং পর্যন্ত প্রায় ৮০ কিলোমিটার সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁক ককসবাজারমুখী পর্যটকদের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। কোথাও ডানে মোড়,আঁকাবাঁকা রাস্তা বা সতর্কী করণ চিহ্ন না থাকায় প্রতিনিয়ত এসব এলাকায় দ্রুতগামী চেয়ারকোচ ও মালবাহী ট্রাক দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে করে ঘটছে বহু লোকের প্রাণ হানির ঘটনা।
সূত্র জানায়, ককসবাজার বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় মহাসড়কে ছোট বড় প্রায় ২০টি টেক-বাঁক রয়েছে। তৎমধ্যে খরুলিয়া, বাংলাবাজার, রামু, পানিরছড়া, ঈদগাঁও, নাপিতখালী, মেধাকচ্ছপিয়া, ডুলাহাজারা,মালুমঘাট,ফাঁসিয়াখালী,চকরিয়া,হারবাং সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে। দুর থেকে এসব স্থানে টেক-বাঁকগুলি দেখা না যাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে শীতে এ সকল টেক-বাঁকে ঘন কুয়াশায় যানবাহন দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয় চট্টগ্রাম-ককসবাজারমূখী চেয়ারকোচ ও ট্রাকের একাধিক ড্রাইভার। তাছাড়া মহাসড়কে অসংখ্য বাঁকের পাশাপাশি ১৫টির অধিক হাটবাজার থাকায় এটি গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ককসবাজার লিংরোড,খরুলিয়া বাজার,পানিরছড়া বাজার,কালিরছড়া বাজার,ঈদগাঁও বাসষ্টেশন,নতুন অফিস বাজার,খুটাখালী বাজার,ডুলাহাজারা বাজার,মালুমঘাট বাজার,চকরিয়া সোসাইটি অন্যতম। এসব ষ্টেশন ও বাজারে অবৈধ ভাবে জীপ,মাইক্রো ও টেক্সী দাঁড় করিয়ে রাখার কারণে যানজটের কবলে পড়তে হয়। এতে করে পর্যটকদের ঘন্টার পর ঘন্টা মহাসড়কে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ককসবাজার পৌঁছতে।
সরেজমিন দেখা যায়,উলেখিত টেক-বাঁকে প্রতিবছরে ১শ লোকের প্রাণহানি ঘটে। এর মধ্যে বেশির ভাগ দূর্ঘটনা টেক বা বাঁকে অতিক্রম করার সময়।
প্রশাসন সূত্রে জানায়, এসব টেক-বাঁকে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড ও সতর্কীকরণ বিজ্ঞাপন টাংগিয়ে ছিল। কিন্তু চোরের দল রাতের আধাঁরে কেটে তা বিক্রি করে দিয়েছে। তাছাড়া স্ব স্ব এলাকায় প্রশাসন ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দোকানপাট উচ্ছেদ ও করেন। এসময় দখলদারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও হয়েছে। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতে দখলদারেরা আবারো দোকানপাট ও হাটবাজার গড়ে তুলে। ফলে সড়ক,ফুতপাত দখলমুক্ত করা যাচ্ছেনা। চলতি মৌসুমে চট্টগ্রাম ককসবাজার মহাসড়কের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। পর্যটন রাজধানী ককসবাজারে নানা স্থরের মানুষের যাতায়ত বেড়েছে দ্বিগুণ। বর্তমানে অন্যতম ব্যস্ত মহসড়ক হিসাবে পরিচিতি পেলে টেক-বাঁক খানা খন্দক ও ষ্টেশন ভিত্তিক অবৈধ বাজার এবং ঝুঁকিপূর্ণ অংশের কোন কাজ করা হচ্ছেনা। এই মহাসড়ক দিয়ে বেশি ওজনের ট্রাক,লরি নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে মহাসড়কের রামু ঈদগাঁও,চকরিয়ার অনেকাংশে দেবে গেছে। এস আলম চেয়ারকোচের ড্রাইভার আলম জানান,নাপিতখালী মোড়ের বাঁকটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে বাঁকে আসলে গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়না। যার কারণে দূর্ঘটনা ঘটে। ককসবাজারের বেড়াতে আসা ফরিদপুরের পর্যটক শাহআলম জানান,মহাসড়কের কোথাও বাঁক-টেকে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড না থাকায় দূর্ঘটনা বেশি ঘটছে।