ডেস্ক রিপোর্ট::
কক্সবাজারের টেকনাফ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। টেকনাফে রয়েছে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ‘কুদুম গুহা’। স্থানীয়রা এটিকে বলে কুদুং। যারা টেকনাফ ভ্রমণে রোমাঞ্চকর স্বাদ নিতে চান তারা ঘুরে আসতে পারেন গুহাটিতে।
গুহাটির অবস্থান কক্সবাজার শহর থেকে ৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণে টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায়। বাংলাদেশের একমাত্র বালু-মাটির গুহা এটি। মনোরম পাহাড়ঘেরা পরিবেশ, পাখির ডাক আর বন্যপ্রাণীর আনাগোনাময় এই গুহাটি দারুণ একটি আকর্ষণীয় জায়গা। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় এক হাজার ফুট উপরে অবস্থিত।
দুর্গম পাহাড় অতিক্রম করে যেতে হয় এই গুহায়। কুদুম গুহায় হেঁটে যাওয়ার সময় পাখির ডাক মনোরম পাহার ঘেরা গাছপালা ও বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী দেখতে পাবেন। এই গুহার ভেতরে প্রবেশ করেই আপনার মনে হবে হয়তো আদিম যুগে চলে এসেছেন। বাঁদুরের হাঁক ডাক আর উড়া উড়িতে দারুণ এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি পাবেন। এই গুহা অসংখ্য বাদুড়দের আশ্রয়স্থল। তাই এটিকে বাদুড় গুহাও বলে।
গুহার ভেতরে কোথাও কোমর আবার কোথাও গলা সমান শীতল পানি। গুহার দেয়াল বেয়ে চুইয়ে চুইয়ে অনবরত পানি ঝরে। এর যত ভেতরে প্রবেশ করবেন পানির গভীরতা ততোই বাড়তে থাকবে। এখানকার পানি বেশ ঠাণ্ডা ও স্বচ্ছ। পানিতে টাকি, কৈ, কাকলি, তিন চোখা, ডানকিনে কালো রঙের চিংড়ি মাছের বিচরণ দেখা যায়।
নির্দেশনা
৫০০ ফুট দীর্ঘ এই গুহার ভেতর এতটাই অন্ধকারচ্ছান্ন যে জোরালো আলো ছাড়া এর ভিতরে কিছুই দেখা যায় না। গা ছমছম করা আঁধারে চামচিকার কিচিরমিচির ডাকে গা ছমছমে পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যে কোনো সময় এই বাদুড় আর চামচিকা শরীরের ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাই আপনাকে সাথে হেডলাইট ও আত্মরক্ষামূলক লাঠি অবশ্যই নিতে হবে৷ গুহায় যাওয়ার সময় অবশ্যই দায়িত্বপ্রাপ্ত বন বিভাগের কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে ফরেস্ট গাইড অথবা ইকো গাইডকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন।
কুদুম গুহায় যেতে হলে সড়কপথে সরাসরি টেকনাফ চলে যান। এরপর টেকনাফের হোয়াইখিয়ং বাজার থেকে শাপলাপুর অভিমুখে ৪ কিলোমিটার যাবার পর বাম দিকে পাহাড়ি ঝিরিপথ ধরে আরো ২ কিলোমিটার হাঁটলেই এই গুহায় পৌঁছে যাবেন।
পাঠকের মতামত