প্রকাশিত: ০৪/০৪/২০২২ ৩:৫৫ এএম

সৈয়দুল কাদের ::
কক্সবাজার পর্যটন শিল্পকে আরো আকর্ষনীয় করতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় ৩৪টি পয়েন্টে চালু করেছিল ফ্রি ওয়াইফাই। শুরুতে স্থানীয় কিছু লোকজন এসব জোনে ওয়াইফাই ব্যবহার করলেও এখন তেমন আর আগ্রহ নেই। প্রচারণা না থাকায় এই আকর্ষনীয় প্রকল্পটি সম্পর্কে জানেন না সাধারণ মানুষ। তবে অচিরেই প্রচারণা শুরু হবে জানালেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)।

কক্সবাজার পৌরসভার ৩৪টি পয়েন্টের ৭৪ এলাকায় ফ্রি ওয়াইফাই প্রচারণা না থাকায় তেমন কেউ ব্যবহার করছেন না। অনেকেই এই প্রকল্পটির বিষয়ে অবগত নন। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার সাজবীর রহমান জানিয়েছেন মুলত প্রকল্পটি ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের। গত মাসে এই প্রকল্পটি কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বুঝে নিয়েছে। ফ্রি ওয়াইফাই জোনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে অবহিত করতে (কউক) এর পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হবে।
প্রতিটি জোনেই ওয়াইফাই সচল আছে জানিয়ে তিনি বলেন, অতি শীঘ্রই ওয়াইফাই ব্যবহার করতে যাতে সমস্যা না হয় তাই কোন কোড ছাড়াই ব্যবহার করার সুযোগ করে দেওয়া হবে। প্রধান সড়কের যেসব স্থানে উন্নয়ন কাজের কারণে সমস্যা হবে তা দ্রুত সমাধান করা হবে। এই প্রকল্পটি কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের জন্য খুবই আকর্ষনীয়।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় এই প্রকল্পটি ২০২০ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমদ পলক এমপি। ৩৪টি পয়েন্টের ৬৮টি রাউটারে ৬ হাজার ৮০০ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এসব এলাকায় বিনামূল্যে ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ডলফিন মোড়ের ব্যবসায়ি আনিসুল ইসলাম জানান, ফ্রি ওয়াইফাই এর বিষয়ে অনেকেই জানলেও পাসওয়ার্ড থাকার কারণে ব্যবহার করতে পারে না। অনেকেই পাসওয়ার্ড ঠিকমত দিতে পারে না। তাই পাসওয়ার্ড বিহীন ফ্রি করে দিলে সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারত। এছাড়া পর্যটকরা যাতে জানতে পারে তাই প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে। এই প্রকল্পটি কক্সবাজারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ।
ফ্রি ওয়াইফাই পয়েন্ট হলো- সুগন্ধা পয়েন্ট, সায়মন পয়েন্ট, লাবনী পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্ট, বিয়াম ভবন, ডলফিন চত্ত্বর, হোটেল মোটেল রোড, জাম্বোর মোড়, রূপচাঁদা ভাস্কর্য, সাম্পান ভাস্কর্য, স্টার ফিস ভাস্কর্য, হলিডে মোড, প্রেসক্লাব, পুরাতন স্টেডিয়াম, বার্মিজ মার্কেট রোড, কচ্ছপিয়া পুকুর, সার্কিট হাউজ রোড, গোলদীঘি, বাজারঘাটা, লালদিঘি, বনবিভাগ কার্যালয় (উত্তর ও দক্ষিণ), জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পাবলিক লাইব্রেরী, শহীদ দৌলত ময়দান, শহীদ মিনার, জজ কোর্ট, পুলিশ সুপার কার্যালয়, জেলা পরিষদ, হিল ডাউন সার্কিট হাউজ, হিলটপ সার্কিট হাউজ, রাডার স্টেশন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়, লারপাড়া বাস স্টেশন, হিমছড়ি ও দরিয়ানগর। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা ক্যাম্প ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’, মৃত্যু কমলেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলো ডেঙ্গুর ‘হটস্পট’ হয়ে উঠেছে। শীত মৌসুমেও এই দুই উপজেলার ...