কক্সবাজারের নয় উপজেলা নির্বাচন তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ইসি কমিশনার রাশেদা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে।
ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভোটের জন্য আগামী ৪ মে নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে এবং তৃতীয় ধাপে ১৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উপজেলাগুলোর মধ্যে- প্রথম ধাপে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া, মহেশখালী এবং কক্সবাজার সদর উপজেলা মনোনীত করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে রাখা হয়েছে, চকরিয়া, পেকুয়া এবং নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলা। একই তারিখে পাশ্ববর্তী লামা এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভোটও অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে তৃতীয় ধাপে ১৮ মে রামু, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৩ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুয়ায়ী স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার নির্বাচনযোগ্য উপজেলাগুলোর নাম ইসিতে প্রেরণ করেন।
ইসিতে প্রেরিত তালিকায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ উখিয়া, পেকুয়া, টেকনাফ, রামু, মহেশখালী উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইভাবে ১৮ মার্চ চকরিয়া, ৩১ মার্চ কক্সবাজার সদর এবং ১৬ মে কুতুবদিয়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পরবর্তীতে নির্বাচিত জনপ্রতিধিরা একই বছরের ২৫ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে কুতুবদিয়া উপজেলার নির্বাচিতরা শপথ নেন ২ জুলাই।
এরপর ২০১৯ সালের ৫ মে মহেশখালী এবং পেকুয়া, ৬ মে উখিয়া এবং কক্সবাজার সদর, ৮ মে চকরিয়া, ১৩ মে টেকনাফ, ১৯ মে রামু এবং ২৯ জুলাই কুতুবদিয়ার জনপ্রতিনিধিরা প্রথম সভায় অংশ নেন।
জেলা নির্বাচন অফিস অনুযায়ী, কক্সবাজার সদরের মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৫৯ জন। রামু উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ২৭৯ জন। নবগঠিত ঈদগাও উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৮৭হাজার ৭৩৭ জন। চকরিয়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৩০২ জন। পেকুয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৩ হাজার জন। মহেশখালী উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ৫২ হাজার ৫১৪ জন। কুতুবদিয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ৯৫ হাজার ৫০৮ জন। উখিয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩১২ জন এবং টেকনাফ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৬০ জন।