কক্সবাজারের নবাগত পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেছেন, কক্সবাজারে অতিরঞ্জিত পুলিশিং হবেনা। আইনের ভিতর থেকে পুলিশিং করা হবে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এর আগে গত ৮ নভেম্বর কক্সবাজারে যোগদান করেন নবাগত পুলিশ সুপার।
বক্তব্যে সাংবাদিকরা কক্সবাজারে বিরাজমান আইন শৃঙ্খলাজনিত সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছাত্র জনতার উপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এ ছাড়াও জেলায় রোহিঙ্গা সমস্যা, শহরের বড় বাজার ও গোল দীঘির পাড় এলাকায় মাদক বিকিকিনি, শহরজুড়ে যানজট, চকরিয়া চিংড়ি জোনে ডাকাতের উপদ্রব ও কলাতলী হোটেল মোটেল জোনে দখলবজির কথা সাংবাদিকদের বক্তব্যে উঠে আসে।
নবাগত পুলিশ সুপার বক্তব্যে আরো বলেন, সাংবাদিকদের বক্তব্যে উঠে আসা সবগুলো পয়েন্ট আমি নোট করেছি। এসব সমস্য সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে ও স্বচ্ছতা এবং সততার সাথে কাজ করা হবে৷
তিনি বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশ সমাজের দর্পন। আমি আপনাদের সেবা করতে এসেছি। কিছু নেওয়ার জন্য এখানে আসিনি, যাওয়ার সময় আপনাদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসা নিয়ে যেতে চাই।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন বাহারী, দৈনিক ইনকিলাবের কক্সবাজার ব্যুরো চীফ শামসুল হক শারেক, সাংবাদিক ও আইনজীবি আবু ছিদ্দিক ওসমানী, দৈনিক জনকণ্ঠের কক্সবাজারস্হ স্টাফ রিপোর্টার এইচএম এরশাদ, আরটিভি’র কক্সবাজার প্রতিনিধি ও দৈনিক গণ সংযোগ সম্পাদক সাইফুর রহিম শাহীন, মোহনা টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি আমানুল হক বাবুল, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরওয়ার, সহ সভাপতি এম আর মাহবুব ও দৈনিক হিমছড়ি সম্পাদক হাসানুর রশিদ প্রমূখ।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কক্সবাজার প্রেস ক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত