ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২৪/০৮/২০২২ ৭:৩০ এএম

কক্সবাজার বিমানবন্দরে গতকাল মঙ্গলবার এক নারীসহ ১১ রোহিঙ্গা বিমান যাত্রীকে আটকের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিমান বন্দরের টিকেট কাউন্টার থেকে তাদের আটক করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন-৮) সদস্যরা। আটক রোহিঙ্গারা ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন।

টিকেট ওকে হলেই কক্সবাজার ত্যাগ করতেন তারা।

কিন্তু সন্দেহজনক আচরণের জন্য কাউন্টারের সামনে থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ তিন লক্ষাধিক টাকা জব্দ করা হয়। তাদের কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয়। উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরের ১১ জন রোহিঙ্গা এক সঙ্গে কক্সবাজার থেকে বিমানের টিকিট নিয়ে ঢাকা যাওয়ার চেষ্টার ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শিবিরের এসব সাধারণ রোহিঙ্গা বিমানে চড়ার টাকাসহ তাদের কাছে পাওয়া নগদ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা পেলেন কোথায় তারা-এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

শিবির থেকে তাদের কেউ নিয়ে যাচ্ছে কিনা। দেশের বাইরে নাকি ভেতরে-কোথায় ছিল এসব রোহিঙ্গাদের গন্তব্য? তাদের এত টাকার উৎস কি? বাংলাদেশের ব্যাংকে হিসাব খুলতে এনআইডিসহ আরো অনেক ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। অথচ আটক রোহিঙ্গাদের কাছে ব্যাংকের ডেবিট কার্ডও পাওয়া গেছে। দেশের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদে এসব প্রশ্নের জবাব দরকার বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

আটককৃতরা হলেন, ক্যাম্প ১৭ এর ৭২ ব্লকের বাসিন্দা মৃত নজরুলের ছেলে মো. নূর, একই ক্যাম্পের আবু তাহেরের ছেলে মো. নূর, ক্যাম্প-২ এর আই ব্লকের বাসিন্দা আবুল কাশেমের ছেলে মো. আয়াজ, ক্যাম্প ২৬-এর আই ব্লকের বাসিন্দা মৃত লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল হক, একই ক্যাম্পের আব্দুর শুক্কুরের ছেলে রবি আলম ও তার ভাই আবু বক্কার ছিদ্দিক, একই ক্যাম্পের এ/১০ ব্লকের নুর আলমের ছেলে ওসমান, ক্যাম্প-১৭ এর ৭২ ব্লকের বাসিন্দা মৃত সলিমুল্লার ছেলে রেজাউল করিম, ক্যাম্প ৮ ইস্ট এর বি/৭৪ ব্লকের নুরুল আমিনের ছেলে মো. আজিজ, ২৬নং ক্যাম্পের আই ব্লকের দীল মোহাম্মদের ছেলে মো. ফয়সাল এবং আব্দু শুক্কুরের মেয়ে রহিমা।

রোহিঙ্গা শিবিরের আইন-শৃংখলার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএন-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করছেন।

তিনি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কাউন্টারের সামনে বিমানের জন্য অপেক্ষারত এক মহিলা এবং দশ পুরুষের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে তাদের আটক করে এপিবিএন সদস্যরা। আটকের পর তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ইউ এস বাংলা ২টি, নভোএয়ার ২টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫টি টিকেট পাওয়া যায়।

এসময় পৃথকভাবে তাদের তল্লাশি করে নগদ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এছাড়া ফয়সাল নামের আটক এক রোহিঙ্গা যুবকের কাছে দুইটি ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়পত্র, একটি আইএফআইসি ব্যাংকের ডেবিট কার্ড পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত মালামালসহ আটককৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত

কানাডায় স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের পিড়িতে চকরিয়া নুর!

কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া পরবর্তীতে কানাডায় বসবাসরত নুর বেগম নামের এক মহিলাকে বিয়ের ...

সিইসির মা-বাবার সমস্ত সম্পদ দিয়ে কক্সবাজারে গড়ে তোলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার:: কক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপের গর্বিত সন্তান এ এম এম নাসির উদ্দীন ১৯৬৮ সালে ...

যুগান্তরের প্রতিবেদন শঙ্কার মাঝেও কক্সবাজারে বাণিজ্য মেলার অনুমতি, প্রধান সমন্বয়ক আ.লীগ নেতা!

ডিসেম্বরে কোথাও বাণিজ্য মেলার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবারও শিল্প ও বাণিজ্য ...