বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুই নেতাকে থানায় মারধর করার ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগ থেকে বদলি হওয়া অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনে সই করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, হারুন-অর-রশিদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন। তাকে সরকারি চাকরি আইনের বিধান অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বর (২০২৩) থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন এডিসি হারুন পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদকে রবিবার কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়।
রবিবার প্রথমে তাকে ডিএমপির রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে সংযুক্ত করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পর বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এরপর সোমবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্তের আগে সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে বেধড়ক নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।
আহতদের সহপাঠী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন বিসেএস কর্মকর্তা। এ সময় তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সেটি হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এরই জেরে সঙ্গে থাকা ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে বেদম মারপিট করা হয়।
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।